সাধারণ উপদেশ
সদা সত্য কথা বলবে।
মিথ্যা কথা বলবে না।
কাউকে ধোঁকা দিবে না।
আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম মত চলবে।
আলেমগণ কে ভক্তি-শ্রদ্ধা করবে এবং তাদের হুকুম মেনে চলবে।
হারাম বস্তুু স্পর্শ করবে না।
কারো ক্ষতি করবে না।
ইলমে দ্বীন অর্জন করা ফরয।
সবাই আগে ইলমে দ্বীন অর্জন করবে।
তারপর হালাল পথে রুযী কামাই করার শিক্ষা গ্রহণ করবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্যে বরকত বেশি।
ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে চেষ্টা করবে।
ন্যায় পথে চলবে।
বিপদে ধৈর্যহারা হবে না।
অভাব-অনটনে দুঃখিত হবে না।
মুরব্বিদের সম্মান করবে।
তাদের সঙ্গে কখনো বেয়াদবি করবে না।
তাদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে না।
তাদের শানে কটুক্তি করবে না।
ছোটদেরকে ভালবাসবে।
সাথীদের সঙ্গে মিলে মিশে চলবে।
ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি করবে না।
সময় মত সব কাজ করবে।
মাদ্রাসার নিয়ম শৃংখলা মেনে চলবে।
উস্তাদের সঙ্গে কখনোও বেয়াদবি করবে না। মেহমানদের যত্ন করবে।
মানুষের সেবা করবে।
মাতৃ ভাষায় যোগ্যতা অর্জন করবে।
বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করবে না।সর্বদা উযূর সহিত থাকবে।
ইস্তেঞ্জার পর উযূ করে নিবে।
অতিরিক্ত হাসি-ঠাট্টা করা ভাল নয়।
পিতা মাতার কথা শিরধার্য মনে করবে।
কাউকে উপহাস করবে না।
বড়দের নাম ধরে ডাকবে না।
কারো নাম ব্যঙ্গ করে বা বিকৃত করে ডাকবে না।
কারো দোষ খুঁজবে না।
পরের দোষ চর্চা করবে না।
সর্বদা নিজের চরিত্র উন্নত করার চেষ্টা করবে।
লেখাপড়া করার চেষ্টা করবে।
মূর্খ থাকা ভাল নয়।
অন্যদেরকেও লেখা-পড়া শেখাতে চেষ্টা করবে।
সবাইর হীত কামনা করবে।
দেশকে ভালবাসবে।
দেশের সম্পদ নষ্ট করবে না।
কারো হক নষ্ট করবে না।
কারো সঙ্গে শত্রুতা করবে না।
সবাই কে ভালবাসবে।
মসজিদ মাদ্রাসার খিদমদ করবে।
সাধ্যানুযায়ী সাহায্য করবে।
মানুষের উপকার করবে।
বিপদে আপদে মানুষের সাহায্য করবে।
দান-সাদকা অতি ভাল কাজ।
এতে বালা-মুসীবত দূর হয়।
* সত্যবাদিতাঃ সদা সত্য কথা বলবে।
কদাচ মিথ্যা কথা বলবে না।
কাউকে ধোঁকা দিবে না।
কেননা আল্লাহ পাক সততা ও সত্যবাদিতাকে ভাল বাসেন।
মিথ্যাকে ঘৃণা করেন এবং মিথ্যুকদের উপর
লা'নত বর্ষণ করেন।
আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- 'সততা মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।'
অতএব, তোমরা সর্বদা সত্য কথা বলবে।
কখনও মিথ্যা কথা বলবেনা।
তোমরা এখন থেকে পণ করবে যে,
"আমরা সদা সত্য কথা বলব।
সততার উপর অটল থাকব।
কদাচ মিথ্যা কথা বলব না।
কাউকে ধোঁকা দিব না।
সকলকে সদা সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহ দিব।
মিথ্যা বলতে বাধা দিব।
যারা মিথ্যা বলবে তাদের সাথে মেলামেশা করব না। তাদের থেকে দূরে থাকব।"
* অহংকারঃ অহংকার খুবই খারাপ চরিত্র।
তোমরা কখনও অহংকার করবে না।
আল্লাহ পাক ও আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহংকার করতে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে কাউকে ঘৃণা করা, কারো প্রতি হিংসা করা ও বংশ গৌরব করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
* লোভঃ লোভ করা ভাল নয়।
তোমরা কখনও লোভ করবে না।
আল্লাহ পাক ও আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোভ করতে নিষেধ করেছেন।
বাংলা ভাষায় একটা প্রবচন আছে-
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
অতএব, তোমরা এখন থেকে পণ কর যে,
"আমরা লোভ করবো না।
লোভ করা কে ঘৃণা করব।
লোভিদের সাথে চলাফেরা করব না।"
* বিনয়ঃ বিনয় একটি উত্তম গুণ।
অতএব তোমরা বিনয়ের চরিত্র অর্জন করবে এবং বিনয়ী হবে।
আল্লাহ পাক এবং আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিনয় ও নম্র-ভদ্রদের ভালোবাসেন।
* অল্পতে তুষ্ট হওয়াঃ অল্পতে তুষ্ট হওয়া একটি ভাল চরিত্র।
তোমরা অল্পতে সন্তুষ্ট হবার চরিত্র অর্জন করবে।
বেশি পাওয়ার লোভ করবে না।
* ভয়ঃ আল্লাহকে ভয় করতে হবে।
তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় করবে।
কেননা, সব কিছুর মালিক আল্লাহ।
তাই, সব কাজে আল্লাহকে ভয় করবে।
অর্থাৎ যে কোন কাজ কর না কেন, সেই কাজে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট কিনা তা জেনে নিবে।
যে কাজ আল্লাহ পাক ভালোবাসেন, পছন্দ করেন, সেই কাজ করবে।
আর যে কাজ আল্লাহ পাক পছন্দ করেন না বা ভালোবাসেন না, ঐ কাজ করবে না।
এ সবই হল আল্লাহকে ভয় করা।
শিশু বয়স থেকেই তোমরা এভাবে নিজেদের জীবন ঘরে তুলবে।
যে সব কাজ আল্লাহ পাক ও আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালোবাসেন।
ঐ সব কাজ করার সময় আল্লাহ পাক কে খুশী করার নিয়্যাতে করবে।
এতে ঐ কাজে আল্লাহ পাক সাহায্য করাবেন।
* ভালো কাজের আশাঃ তোমাদের জীবনের পণ থাকতে হবে যে, সারা জীবন ভাল কাজ করবে।
ভাল কাজ করার সময় আল্লাহ পাকের নিকট কামনা রাখবে যে, তিনি যেন এ কাজটি সফল করে দেন এবং আল্লাহ পাকের নিকট সফলতার আশা ও রাখবে।
* সম্মানী ব্যক্তিদের সম্মান করাঃ তোমরা সর্বদা সম্মানী ব্যক্তি কে সম্মান করবে।
তাদের সামনে উচ্চঃস্বরে কথা বলবে না।
* পরোপকারঃ সর্বদা মানুষের উপকার করবে।
কদাচ কারোর ক্ষতি করবে না।
মানুষের ও অন্যান্য জীবের প্রতি দয়া করবে।
কারোর উপর আঘাত হানবে না।
* নিয়ম-শৃংখলাঃ নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলা আদর্শ জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন।
যারা নিয়ম শৃংখলা মেনে চলে না, তারা জীবনে কোন উন্নতি করতে পারে না।
আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল কাজে নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলতেন।
তাঁর কোন কাজেই বিশৃংখল ছিল না।
অতএব, তোমরাও সকল কাজ-কর্মে নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলবে।
তোমরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছ।
এ মাদরাসার অনেক নিয়ম-নীতি আছে, তোমরা সর্বদা তা মেনে চলবে।
* ন্যায়ঃ তোমরা সদা ন্যায়কে ভালবাসবে।
ন্যায়ের উপর অটল থাকবে।
জীবন দিয়ে হলেও সমাজে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করবে।
* দান খয়রাতঃ তোমরা দান খয়রাত করবে।
বিক্ষুককে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবে না।
ভিক্ষুককে ভর্ৎসনা করবে না।
দিতে না পারলে, তার জন্য দু'আ করবে- 'আল্লাহ তোমার অভাব দূর করে দিক।
ক্ষমা কর, কিছু দিতে পারলাম না।'
তোমরা প্রত্যেকেই এক এক জন বড় বড় ধান বের হবে। হাতেম তাই বিখ্যাত দান বীর ছিলেন।
* ধৈর্যধারণঃ বিপদে-আপদে, দুঃখে-কষ্টে, অভাবে- অনাহারে ধৈর্য ধারণ করবে।
কারো নিকট কিছু চাইবে না।
আল্লাহর নিকট অভাব দূর হবার জন্য দু'আ করবে।
* ভালোবাসাঃ সকলকে ভালবাসবে।
কাউকে ঘৃণা করবে না।
কারো ক্ষতি করবে না।
কারো দোষচর্চা/পরীনিন্দা করবে না।
* মেহমানদের সম্মান করাঃ মেহমান দেখলে মন ছোট করবে না।
বরং মন বড় করবে।
সম্মান করবে।
বসতে দিবে।
আপ্যায়ন করবে।
আত্মীয় স্বজনকে তিন দিন পর্যন্ত যত্ন সহকারে খাওয়াবে।
কমপক্ষে এক দিন উত্তম খাবারের ব্যবস্থা করবে।
* এতীমদের যত্ন করাঃ এতীমদের ভালবাসবে।
যত্ন করবে।
ছোট হলে মাথায় হাত বুলাবে।
এদের খোঁজ-খবর নিবে।
দরিদ্র হলে সাহায্য করবে।
* শোকর করাঃ কেউ তোমার কোন উপকার করলে তার শুকরিয়া আদায় করবে।
বলবেঃ আপনার শুকরিয়া আদায় করি।
দু'আ করবে ও বলবেঃ جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْرًا
বাংলা উচ্ছারণঃ জাযাকাল্লাহু খাইরা।
(বাংলায় বলবেঃ শুকরিয়া, অশেষ শুকরিয়া। আল্লাহপাক তোমাকে উত্তম জাযা (বিনিময়) দান করুন।
* ছোটদের স্নেহা করাঃ ছোটদেরকে স্নেহ করবে। কখনও রাগ করবেনা।
ধমক দিবে না।
বরং ভালবাসবে।
ছোটরা যা কিছু বলবে তা হজম করে নিবে।
স্নেহ দিয়ে বুঝিয়ে দিবে।
তবে কখনও মিথ্যা কথা বলবে না।
ধোঁকা দিবে না।
* হালাল বস্তু ব্যবহার করাঃ সর্বদা হালাল বস্তু ব্যবহার করবে।
হালাল পোশাক পরিধান করবে।
হালাল খাবার আহার করবে।
হারাম খাবার আহার করবে না।
হারাম বস্তু স্পর্শ করবে না।
হারাম থেকে দূরে থাকবে।
সর্বদা হালাল-হারাম জেনে নিবে।
* ঠাট্টা-বিদ্রুপ না করাঃ কারো সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে না।
কারো নাম বিকৃত করে ডাকবে না।
কাউকে হেয় করার চেষ্টা করবে না।
সকলকে সম্মানের চোখে দেখবে।
সম্মান করবে।
* কাউকে কষ্ট না দেয়াঃ কাউকে কষ্ট দিবে না।
কারো মনে আঘাত দিবে না।
এমনকি জীবজন্তু, পশুপাখি কাউকেই কষ্ট দিবে না।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ খাঁটি মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার হাত ও মুখের ধারা কোন মুসলমান কষ্ট পায় না।
* অন্যায়-অত্যাচার না করাঃ অন্যায় অত্যাচার খুব খারাপ কাজ।
কখনও কারো উপর অন্যায়-অত্যাচার করবে না।
কেউ অন্যায় অত্যাচার করলে তাকে ক্ষমার নজরে দেখবে।
* অনুমতি ব্যতীত কারোর কিছু না ধরাঃ কারোর কোন মাল ছোট হো'ক বা বড় হো'ক, অনুমতি না নিয়ে ধরবেনা।
ব্যবহার করবে না।
আহার করবে না।
বিনা অনুমতিতে কারো ঘরে প্রবেশ করবে না।
* কোন কিছু জোরপূর্বক গ্রহণ করাঃ কারো কোন বস্তু জোর করে দিবে না।
ব্যবহার করলে না।
আহার করবে না।
সামান্য বস্তু হলেও জোর করে নিবে না।
* বিনা দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করাঃ কোন সভা, মিটিং বা খাওয়ার অনুষ্ঠানে বিনা দাওয়াতে না যাওয়া।
প্রবেশ না করা।
তোমার সম্মান তুমি নিজে রক্ষা করবে।
তোমার মান সম্মান আছে।
বিনা দাওয়াতে শরীক হয়ে তুমি নিজেকে
হেয় করবে না।
* পথ হারা কে পথ দেখাবেঃ কেউ পথ ভুলে গেলে তাকে পথ দেখাবে।
গন্তব্যস্থানে পৌঁছিয়ে দিবে।
কেউ পথ জিজ্ঞেস করলে, ভালোভাবে পথ বাতলে দেবে।
* কর্জ করা ভাল নয়ঃ যতক্ষন পারা যায় কর্জ
গ্রহণ না করা।
কর্জ গ্রহণ করলে ওয়াদা মত তা পরিশোধ করে দিবে।টালবাহানা করবে না।
সময় মত দিতে না পারলে আগেভাগে ক্ষমা চেয়ে নেবে এবং সময় বাড়িয়ে নিবে।
আত্মীয়-স্বজন থেকে কর্জ নিলে এবং সময় মত দিতে না পারলে আত্মীয়তা ভাঙ্গন ধরে।
তাই কর্জ না করাই উত্তম।
* অপবাদ না দেয়াঃ না জেনে কারো নামে দোষ চাপিয়ে দেবে না।
এটা মারাত্মক অন্যায়।
কারো কোন দোষ জানা থাকলে তা না বলা বরং লুকিয়ে রাখা ভাল।
পরকালে উপকার পাওয়া যাবে।
মিথ্যা কথা বলবে না।
কাউকে ধোঁকা দিবে না।
আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম মত চলবে।
আলেমগণ কে ভক্তি-শ্রদ্ধা করবে এবং তাদের হুকুম মেনে চলবে।
হারাম বস্তুু স্পর্শ করবে না।
কারো ক্ষতি করবে না।
ইলমে দ্বীন অর্জন করা ফরয।
সবাই আগে ইলমে দ্বীন অর্জন করবে।
তারপর হালাল পথে রুযী কামাই করার শিক্ষা গ্রহণ করবে।
ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্যে বরকত বেশি।
ভালো চরিত্রের অধিকারী হতে চেষ্টা করবে।
ন্যায় পথে চলবে।
বিপদে ধৈর্যহারা হবে না।
অভাব-অনটনে দুঃখিত হবে না।
মুরব্বিদের সম্মান করবে।
তাদের সঙ্গে কখনো বেয়াদবি করবে না।
তাদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে না।
তাদের শানে কটুক্তি করবে না।
ছোটদেরকে ভালবাসবে।
সাথীদের সঙ্গে মিলে মিশে চলবে।
ঝগড়া-বিবাদ ও মারামারি করবে না।
সময় মত সব কাজ করবে।
মাদ্রাসার নিয়ম শৃংখলা মেনে চলবে।
উস্তাদের সঙ্গে কখনোও বেয়াদবি করবে না। মেহমানদের যত্ন করবে।
মানুষের সেবা করবে।
মাতৃ ভাষায় যোগ্যতা অর্জন করবে।
বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করবে না।সর্বদা উযূর সহিত থাকবে।
ইস্তেঞ্জার পর উযূ করে নিবে।
অতিরিক্ত হাসি-ঠাট্টা করা ভাল নয়।
পিতা মাতার কথা শিরধার্য মনে করবে।
কাউকে উপহাস করবে না।
বড়দের নাম ধরে ডাকবে না।
কারো নাম ব্যঙ্গ করে বা বিকৃত করে ডাকবে না।
কারো দোষ খুঁজবে না।
পরের দোষ চর্চা করবে না।
সর্বদা নিজের চরিত্র উন্নত করার চেষ্টা করবে।
লেখাপড়া করার চেষ্টা করবে।
মূর্খ থাকা ভাল নয়।
অন্যদেরকেও লেখা-পড়া শেখাতে চেষ্টা করবে।
সবাইর হীত কামনা করবে।
দেশকে ভালবাসবে।
দেশের সম্পদ নষ্ট করবে না।
কারো হক নষ্ট করবে না।
কারো সঙ্গে শত্রুতা করবে না।
সবাই কে ভালবাসবে।
মসজিদ মাদ্রাসার খিদমদ করবে।
সাধ্যানুযায়ী সাহায্য করবে।
মানুষের উপকার করবে।
বিপদে আপদে মানুষের সাহায্য করবে।
দান-সাদকা অতি ভাল কাজ।
এতে বালা-মুসীবত দূর হয়।
* সত্যবাদিতাঃ সদা সত্য কথা বলবে।
কদাচ মিথ্যা কথা বলবে না।
কাউকে ধোঁকা দিবে না।
কেননা আল্লাহ পাক সততা ও সত্যবাদিতাকে ভাল বাসেন।
মিথ্যাকে ঘৃণা করেন এবং মিথ্যুকদের উপর
লা'নত বর্ষণ করেন।
আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- 'সততা মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।'
অতএব, তোমরা সর্বদা সত্য কথা বলবে।
কখনও মিথ্যা কথা বলবেনা।
তোমরা এখন থেকে পণ করবে যে,
"আমরা সদা সত্য কথা বলব।
সততার উপর অটল থাকব।
কদাচ মিথ্যা কথা বলব না।
কাউকে ধোঁকা দিব না।
সকলকে সদা সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহ দিব।
মিথ্যা বলতে বাধা দিব।
যারা মিথ্যা বলবে তাদের সাথে মেলামেশা করব না। তাদের থেকে দূরে থাকব।"
* অহংকারঃ অহংকার খুবই খারাপ চরিত্র।
তোমরা কখনও অহংকার করবে না।
আল্লাহ পাক ও আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহংকার করতে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে কাউকে ঘৃণা করা, কারো প্রতি হিংসা করা ও বংশ গৌরব করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
* লোভঃ লোভ করা ভাল নয়।
তোমরা কখনও লোভ করবে না।
আল্লাহ পাক ও আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোভ করতে নিষেধ করেছেন।
বাংলা ভাষায় একটা প্রবচন আছে-
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু।
অতএব, তোমরা এখন থেকে পণ কর যে,
"আমরা লোভ করবো না।
লোভ করা কে ঘৃণা করব।
লোভিদের সাথে চলাফেরা করব না।"
* বিনয়ঃ বিনয় একটি উত্তম গুণ।
অতএব তোমরা বিনয়ের চরিত্র অর্জন করবে এবং বিনয়ী হবে।
আল্লাহ পাক এবং আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিনয় ও নম্র-ভদ্রদের ভালোবাসেন।
* অল্পতে তুষ্ট হওয়াঃ অল্পতে তুষ্ট হওয়া একটি ভাল চরিত্র।
তোমরা অল্পতে সন্তুষ্ট হবার চরিত্র অর্জন করবে।
বেশি পাওয়ার লোভ করবে না।
* ভয়ঃ আল্লাহকে ভয় করতে হবে।
তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় করবে।
কেননা, সব কিছুর মালিক আল্লাহ।
তাই, সব কাজে আল্লাহকে ভয় করবে।
অর্থাৎ যে কোন কাজ কর না কেন, সেই কাজে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট কিনা তা জেনে নিবে।
যে কাজ আল্লাহ পাক ভালোবাসেন, পছন্দ করেন, সেই কাজ করবে।
আর যে কাজ আল্লাহ পাক পছন্দ করেন না বা ভালোবাসেন না, ঐ কাজ করবে না।
এ সবই হল আল্লাহকে ভয় করা।
শিশু বয়স থেকেই তোমরা এভাবে নিজেদের জীবন ঘরে তুলবে।
যে সব কাজ আল্লাহ পাক ও আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালোবাসেন।
ঐ সব কাজ করার সময় আল্লাহ পাক কে খুশী করার নিয়্যাতে করবে।
এতে ঐ কাজে আল্লাহ পাক সাহায্য করাবেন।
* ভালো কাজের আশাঃ তোমাদের জীবনের পণ থাকতে হবে যে, সারা জীবন ভাল কাজ করবে।
ভাল কাজ করার সময় আল্লাহ পাকের নিকট কামনা রাখবে যে, তিনি যেন এ কাজটি সফল করে দেন এবং আল্লাহ পাকের নিকট সফলতার আশা ও রাখবে।
* সম্মানী ব্যক্তিদের সম্মান করাঃ তোমরা সর্বদা সম্মানী ব্যক্তি কে সম্মান করবে।
তাদের সামনে উচ্চঃস্বরে কথা বলবে না।
* পরোপকারঃ সর্বদা মানুষের উপকার করবে।
কদাচ কারোর ক্ষতি করবে না।
মানুষের ও অন্যান্য জীবের প্রতি দয়া করবে।
কারোর উপর আঘাত হানবে না।
* নিয়ম-শৃংখলাঃ নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলা আদর্শ জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজন।
যারা নিয়ম শৃংখলা মেনে চলে না, তারা জীবনে কোন উন্নতি করতে পারে না।
আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল কাজে নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলতেন।
তাঁর কোন কাজেই বিশৃংখল ছিল না।
অতএব, তোমরাও সকল কাজ-কর্মে নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলবে।
তোমরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছ।
এ মাদরাসার অনেক নিয়ম-নীতি আছে, তোমরা সর্বদা তা মেনে চলবে।
* ন্যায়ঃ তোমরা সদা ন্যায়কে ভালবাসবে।
ন্যায়ের উপর অটল থাকবে।
জীবন দিয়ে হলেও সমাজে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করবে।
* দান খয়রাতঃ তোমরা দান খয়রাত করবে।
বিক্ষুককে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবে না।
ভিক্ষুককে ভর্ৎসনা করবে না।
দিতে না পারলে, তার জন্য দু'আ করবে- 'আল্লাহ তোমার অভাব দূর করে দিক।
ক্ষমা কর, কিছু দিতে পারলাম না।'
তোমরা প্রত্যেকেই এক এক জন বড় বড় ধান বের হবে। হাতেম তাই বিখ্যাত দান বীর ছিলেন।
* ধৈর্যধারণঃ বিপদে-আপদে, দুঃখে-কষ্টে, অভাবে- অনাহারে ধৈর্য ধারণ করবে।
কারো নিকট কিছু চাইবে না।
আল্লাহর নিকট অভাব দূর হবার জন্য দু'আ করবে।
* ভালোবাসাঃ সকলকে ভালবাসবে।
কাউকে ঘৃণা করবে না।
কারো ক্ষতি করবে না।
কারো দোষচর্চা/পরীনিন্দা করবে না।
* মেহমানদের সম্মান করাঃ মেহমান দেখলে মন ছোট করবে না।
বরং মন বড় করবে।
সম্মান করবে।
বসতে দিবে।
আপ্যায়ন করবে।
আত্মীয় স্বজনকে তিন দিন পর্যন্ত যত্ন সহকারে খাওয়াবে।
কমপক্ষে এক দিন উত্তম খাবারের ব্যবস্থা করবে।
* এতীমদের যত্ন করাঃ এতীমদের ভালবাসবে।
যত্ন করবে।
ছোট হলে মাথায় হাত বুলাবে।
এদের খোঁজ-খবর নিবে।
দরিদ্র হলে সাহায্য করবে।
* শোকর করাঃ কেউ তোমার কোন উপকার করলে তার শুকরিয়া আদায় করবে।
বলবেঃ আপনার শুকরিয়া আদায় করি।
দু'আ করবে ও বলবেঃ جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْرًا
বাংলা উচ্ছারণঃ জাযাকাল্লাহু খাইরা।
(বাংলায় বলবেঃ শুকরিয়া, অশেষ শুকরিয়া। আল্লাহপাক তোমাকে উত্তম জাযা (বিনিময়) দান করুন।
* ছোটদের স্নেহা করাঃ ছোটদেরকে স্নেহ করবে। কখনও রাগ করবেনা।
ধমক দিবে না।
বরং ভালবাসবে।
ছোটরা যা কিছু বলবে তা হজম করে নিবে।
স্নেহ দিয়ে বুঝিয়ে দিবে।
তবে কখনও মিথ্যা কথা বলবে না।
ধোঁকা দিবে না।
* হালাল বস্তু ব্যবহার করাঃ সর্বদা হালাল বস্তু ব্যবহার করবে।
হালাল পোশাক পরিধান করবে।
হালাল খাবার আহার করবে।
হারাম খাবার আহার করবে না।
হারাম বস্তু স্পর্শ করবে না।
হারাম থেকে দূরে থাকবে।
সর্বদা হালাল-হারাম জেনে নিবে।
* ঠাট্টা-বিদ্রুপ না করাঃ কারো সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে না।
কারো নাম বিকৃত করে ডাকবে না।
কাউকে হেয় করার চেষ্টা করবে না।
সকলকে সম্মানের চোখে দেখবে।
সম্মান করবে।
* কাউকে কষ্ট না দেয়াঃ কাউকে কষ্ট দিবে না।
কারো মনে আঘাত দিবে না।
এমনকি জীবজন্তু, পশুপাখি কাউকেই কষ্ট দিবে না।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ খাঁটি মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার হাত ও মুখের ধারা কোন মুসলমান কষ্ট পায় না।
* অন্যায়-অত্যাচার না করাঃ অন্যায় অত্যাচার খুব খারাপ কাজ।
কখনও কারো উপর অন্যায়-অত্যাচার করবে না।
কেউ অন্যায় অত্যাচার করলে তাকে ক্ষমার নজরে দেখবে।
* অনুমতি ব্যতীত কারোর কিছু না ধরাঃ কারোর কোন মাল ছোট হো'ক বা বড় হো'ক, অনুমতি না নিয়ে ধরবেনা।
ব্যবহার করবে না।
আহার করবে না।
বিনা অনুমতিতে কারো ঘরে প্রবেশ করবে না।
* কোন কিছু জোরপূর্বক গ্রহণ করাঃ কারো কোন বস্তু জোর করে দিবে না।
ব্যবহার করলে না।
আহার করবে না।
সামান্য বস্তু হলেও জোর করে নিবে না।
* বিনা দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করাঃ কোন সভা, মিটিং বা খাওয়ার অনুষ্ঠানে বিনা দাওয়াতে না যাওয়া।
প্রবেশ না করা।
তোমার সম্মান তুমি নিজে রক্ষা করবে।
তোমার মান সম্মান আছে।
বিনা দাওয়াতে শরীক হয়ে তুমি নিজেকে
হেয় করবে না।
* পথ হারা কে পথ দেখাবেঃ কেউ পথ ভুলে গেলে তাকে পথ দেখাবে।
গন্তব্যস্থানে পৌঁছিয়ে দিবে।
কেউ পথ জিজ্ঞেস করলে, ভালোভাবে পথ বাতলে দেবে।
* কর্জ করা ভাল নয়ঃ যতক্ষন পারা যায় কর্জ
গ্রহণ না করা।
কর্জ গ্রহণ করলে ওয়াদা মত তা পরিশোধ করে দিবে।টালবাহানা করবে না।
সময় মত দিতে না পারলে আগেভাগে ক্ষমা চেয়ে নেবে এবং সময় বাড়িয়ে নিবে।
আত্মীয়-স্বজন থেকে কর্জ নিলে এবং সময় মত দিতে না পারলে আত্মীয়তা ভাঙ্গন ধরে।
তাই কর্জ না করাই উত্তম।
* অপবাদ না দেয়াঃ না জেনে কারো নামে দোষ চাপিয়ে দেবে না।
এটা মারাত্মক অন্যায়।
কারো কোন দোষ জানা থাকলে তা না বলা বরং লুকিয়ে রাখা ভাল।
পরকালে উপকার পাওয়া যাবে।

কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?