কাযা নামাযের বিবরণ
কাযা নামাযের বিবরণ
প্রত্যেক সুস্থ, সবল, স্বজ্ঞান ও বালেগ মুসলিম নর-নারীর উপর যথাসময়ে নামায আদায় করা ফরয।
এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন- "নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।"
বিশেষ ওজর ছাড়া নামায তরক করা কবিরা গুনাহ। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে বিনা ওজরে এক ওয়াক্ত নামায কাযা করিলে এক হোকবা পরিমাণ জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করিতে হইবে।
এক হোকবার পরিমাণ দুই কোটি অস্টাশি লক্ষ বছর।
অনেকে ছোটবেলা থেকে নামায আদায় করে না, তারা যখন নিয়মিত নামায আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন পূর্বের নামায কাযা আদায়ের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে।
যেহেতু বালেগ হওয়া থেকেই ব্যবহারিক জীবনের ইবাদতের হিসাব শুরু হবে, তাই কতদিন, কত ওয়াক্ত নামায আদায় করেনি তার একটি আনুমানিক হিসাব করে তার চেয়ে কিছু বেশি হয় এমনভাবে উমরী কাযা আদায় করতে হবে।
ফরজ এবং ওয়াজিব নামাযের কাজা আদায় করিতে হয়, অন্য কোন নামাযের কাজা আদায় করিতে হয় না। যদি ফজরের নামায কাজা হয় এবং উহা ঐদিন যোহরের পূর্বে আদায় করিলে সুন্নত সহ কাযা আদায় করিবে।
যদি কোন ওয়াক্তের নামায কাযা হয় তবে উহা পরবর্তী ওয়াক্তের প্রথমে কাযা আদায় করিয়া ওয়াক্তিয়া নামায আদায় করিবে।
যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায কাযা হয় তবে উহার তরতিব রক্ষা করিতে হইবে।
ইহার বেশি ওয়াক্ত কাজা হইলে, যখন সময় পাইবে তখনই কাযা আদায় করিবে, তবে দেরি করিবে না।
কাযা নামাযের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নাই, স্মরণ হওয়া মাত্রই আদায় করিবে।
আর মাকরুহ ওয়াক্তে আদায় করিবে না।
কারণ দূর হইলেই কাযা আদায় করিবে।
সফর অবস্থায় নামায কাযা হইলে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়া কছর কাযা আদায় করিবে।
কাজা নামাজের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন্ আক্কদিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকআতাই সালাতিল ফাজরিল ফায়িতাতি ফারদুল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ আমি আল্লাহর জন্য কেবলামুখী হইয়া ফজরের দুই রাকআত ফরজ নামাযের কাজা আদায় করিতেছি, আল্লাহু আকবার।
অন্যান্য ওয়াক্তের কাজা নামাযে "উছাল্লিয়া" স্থানে "আক্বদিয়া" পড়িবে এবং ওয়াক্তের নামাযের পরে "ফায়িতাতি" বলিবে।
এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন- "নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।"
বিশেষ ওজর ছাড়া নামায তরক করা কবিরা গুনাহ। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে বিনা ওজরে এক ওয়াক্ত নামায কাযা করিলে এক হোকবা পরিমাণ জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করিতে হইবে।
এক হোকবার পরিমাণ দুই কোটি অস্টাশি লক্ষ বছর।
অনেকে ছোটবেলা থেকে নামায আদায় করে না, তারা যখন নিয়মিত নামায আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন পূর্বের নামায কাযা আদায়ের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে।
যেহেতু বালেগ হওয়া থেকেই ব্যবহারিক জীবনের ইবাদতের হিসাব শুরু হবে, তাই কতদিন, কত ওয়াক্ত নামায আদায় করেনি তার একটি আনুমানিক হিসাব করে তার চেয়ে কিছু বেশি হয় এমনভাবে উমরী কাযা আদায় করতে হবে।
ফরজ এবং ওয়াজিব নামাযের কাজা আদায় করিতে হয়, অন্য কোন নামাযের কাজা আদায় করিতে হয় না। যদি ফজরের নামায কাজা হয় এবং উহা ঐদিন যোহরের পূর্বে আদায় করিলে সুন্নত সহ কাযা আদায় করিবে।
যদি কোন ওয়াক্তের নামায কাযা হয় তবে উহা পরবর্তী ওয়াক্তের প্রথমে কাযা আদায় করিয়া ওয়াক্তিয়া নামায আদায় করিবে।
যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায কাযা হয় তবে উহার তরতিব রক্ষা করিতে হইবে।
ইহার বেশি ওয়াক্ত কাজা হইলে, যখন সময় পাইবে তখনই কাযা আদায় করিবে, তবে দেরি করিবে না।
কাযা নামাযের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নাই, স্মরণ হওয়া মাত্রই আদায় করিবে।
আর মাকরুহ ওয়াক্তে আদায় করিবে না।
কারণ দূর হইলেই কাযা আদায় করিবে।
সফর অবস্থায় নামায কাযা হইলে গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়া কছর কাযা আদায় করিবে।
কাজা নামাজের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন্ আক্কদিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকআতাই সালাতিল ফাজরিল ফায়িতাতি ফারদুল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ আমি আল্লাহর জন্য কেবলামুখী হইয়া ফজরের দুই রাকআত ফরজ নামাযের কাজা আদায় করিতেছি, আল্লাহু আকবার।
অন্যান্য ওয়াক্তের কাজা নামাযে "উছাল্লিয়া" স্থানে "আক্বদিয়া" পড়িবে এবং ওয়াক্তের নামাযের পরে "ফায়িতাতি" বলিবে।

কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?