জুমুআরনামাজ নিয়ে কিছু আলোচনা
জুমুআর দিনের আদব।
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ও পবিত্র দিন হল জুমুয়ার দিন বা শুক্রবার দিন।
এ দিন সপ্তাহ ঈদের দিন।
ইবাদতের দিন।
তাই বৃহস্পতিবার বিকাল বেলা হতেই জুমুয়ার দিনের প্রস্তুৃতি নিতে হবে।
কাপড়-চোপড় ধৌত করবে।
আছরের পর দুরুদ শরীফ ও ইস্তেগফার পড়বে। শুক্রবার চুল ছাটা, নখ কাটা, মিসওয়াক করা ইত্যাদি সেরে গোছল করবে।
শরীর ভালভাবে ধৌত করবে।
ভাল কাপড়-চোপড় পরিধান করবে।
সম্ভব হলে নতুন কাপড় পরিধান করবে।
তেল ও খুশবু লাগাবে।
আগে আগে মসজিদে যাবে।
পায়ে হেঁটে যাওয়া উত্তম।
বেশী বেশী দুরুদ শরীফ পড়বে।
সুরা কাহ্ফ্ তিলাওয়াত করবে।
জুমুয়ার নামাযের বিবরণ
জুমার দিন যোহরের নামাজের পরভর্তি দুই রাকাত জুমার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ ইহার ওয়াক্ত যোহরের ওয়াক্তের সময় জুমার দিন দুপুরে গোসল করিয়া পরিষ্কার পোশাক পরিধান করিয়া আযানের সাথে সাথে মসজিদে উপস্থিত হইয়া জুমার নামাজ আদায় করিতে হয়।
জুমুয়ার নামাযের রাকআত সংখ্যা
চার রাকাত কাবলাল জুম্মা তারপর দুই খুতবা পাঠের পর দুই রাকাত ফরজ নামাজ তারপর চার রাকাত বাদাল জুম্মা আদায় করতে হয় জুমুয়ার দিন সময় থাকলে তাহিয়্যাতুল অজু দুখলুল মসজিদ সুন্নত ওয়াক্ত ও নফল নামাজ আদায় করা উত্তম কিন্তু ওই নামাজ গুলি জুমার নামাজ এর সাথে সম্পৃক্ত নয়।
চার রাকাত কাবলাল জুমার নিয়ত।
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল ক্বাবলাল জুমুআতি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ
আমি আল্লাহর সন্তুুষ্টির জন্য ক্বেবলামুখী হইয়া চার রাকআত ক্বাবলাল জুমআ সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেছি, আল্লাহু আকবার।
জামাআতের ফজিলত
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় করা একাকী নামাজ পড়া হইতে সাতাইশ গুণ বেশি উত্তম। (বোখারী)
অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে মানুষ যখন উত্তমরূপে অজু করিয়া মসজিদের দিকে রওয়ানা হয় তখন প্রতি কদমে তাহার একটি করিয়া নেকি বৃদ্ধি পায় এবং একটি করিয়া গুনাহ মাফ হইয়া যায়।
যতক্ষণ নামাজের অপেক্ষায় থাকিবে ততক্ষণ নামাজের ছাওয়াব পাইতে থাকিবে।
নামাযান্তে জামাআতের পর সেই স্থানে অবস্থান করিলে ফেরেশতাগণ তাহার মাগফেরাতের এবং রহমতের জন্য দোয়া করিতে থাকেন।
জামাআতের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো বহু হাদিস বর্ণিত হইয়াছে অতএব কোন মতেই জামায়াত ছাড়া যাইবে না।
কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোখারী শরীফের এক হাদীসে বলেন যাহার হাতে আমার জীবন সেই আল্লাহর কসম! আমার ইচ্ছা হয় যে, লোকদিগকে কাঠ সংগ্রহ করিতে বলি তারপর নামাজের হুকুম করি আযানের নির্দেশ দেই অতঃপর একজনকে নামাজ পড়াইতে হুকুম দিই।
যখন নামাজ শুরু হইয়া যায় তখন আমি এ সকল লোকদের পশ্চাদ্ধাবন করি, যাহারা নামাজের জামায়াতে শরিক হয় নাই আমি তাহাদের গৃহ আগুন দ্বারা জ্বালাইয়া দিই।
জুমু'আর নামায
সপ্তাহে ৭ দিন তন্মধ্যে শুক্রবার সর্ব শ্রেষ্ঠ দিন এবং সাপ্তাহিক ঈদের দিন কেননা এই দিনেই সবচেয়ে বেশি নেয়ামত আল্লাহপাক মানুষকে দান করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন এই দিনে এমন এক সময় আছে সমস্ত দিনের মধ্যে যে মানুষ আল্লাহর নিকট যাহা প্রার্থনা করি বে আল্লাহপাক তাহাই কবুল করিবেন ।
(বোখারী শরীফ)
খোৎবার নিয়ম
মুসল্লিদের উপস্থিত হওয়ার পর ইমাম সাহেব মুসল্লিদের দিকে মুখ করিয়া মিম্বারে বসিবেন এবং মুয়াযযিন সাহেব মিম্বারের সামনে দাঁড়াইয়া আযান দিবে।
আযান শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই ইমাম সাহেব দাঁড়াইয়া প্রথম খোৎবা পাঠ করিবে তার পড়ে দ্বিতীয় খোৎতবা পাঠ করবেন।
জুমুয়ার খোৎতবা পাঠ করা ফরজ খোৎতবার পর নামাজ শুরু হইবে।
পোস্টটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন
