কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত
কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
এটি আদায় করা ওয়াজিব ।
সামর্থ থাকা সত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে যার কোরবানি সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।
ইবাদতের মূল কথা হল আল্লাহ তায়ালার অনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে কোরবানির কিছু ফাযায়েল ও জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল।
আমরা কুরবানের ব্যাপারে আরো masala পোস্ট করব 71 টা মাস আলা পোস্ট করব
কোরবানির ফাজায়েল
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কোরবানির দিনে আল্লাহর কাছে কোরবানি করার চেয়ে প্রিয় কোন আমল নেই। কোরবানির পশুটিকে কেয়ামতের দিন শিং পশম ও খুর সহ উপস্থিত করা হবে। কোরবানির পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। অতএব সন্ন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি করো।(সুনানে তিরমিযী)
হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রাযি) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমরা নবীজীকে প্রশ্ন করলাম হে আল্লাহর রাসূল, এ কোরবানি কি? তিনি বললেন তোমাদের পিতা ইবরাহিমের সুন্নত, সাহাবায়ে কিরাম আরজ করলেন কুরবানীতে আমাদের জন্য কি রয়েছে? তিনি বললেন তিনি বললেন কুরবানীর পশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে সাওয়াব রয়েছে। সাহাবায়ে কিরাম অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন হে আল্লাহর রাসুল এ সাওয়াব কি দুম্বার ক্ষেত্রেও? তিনি বললেন দুম্বার প্রতিটি পশমের বিনিময়েও সাওয়াব রয়েছে। (ইবনে মাজাহ্)
কার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব
মাসআলা: ১
প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর নারী যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা সোনা-রূপা অলঙ্কার বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। 8 নেসাব হলো স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে হিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথক ভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
নেসাবের মেয়াদ
মাসআালা: ২
কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়, বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী করা ওয়াজিব হবে।
কুরবানীর সময়
মাসআলা : ৩
মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যস্তর পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের
১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম।
নাবালেগের কুরবানী
মাসআলা: ৪
নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রুপ যে সুস্থমস্তিস্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।
আমরা কুরবানীর জন্য আরো মাসআলা পুস্ট দিবো
মুসাফিরের জন্য কোরবানি
মাসআলা: ৫
যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে ( অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়াতে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী
মাসআলা: ৬
নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয় বরং মুস্তাহাব।
দরিদ্র ব্যক্তির কোরবানীর হুকুম
মাসআলা: ৭
দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয় কিন্তু সে যদি কোরবানির নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
মাসআালা: ২
কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়, বরং কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী করা ওয়াজিব হবে।
কুরবানীর সময়
মাসআলা : ৩
মোট তিনদিন কুরবানী করা যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যস্তর পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের
১০ তারিখেই কুরবানী করা উত্তম।
নাবালেগের কুরবানী
মাসআলা: ৪
নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রুপ যে সুস্থমস্তিস্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।
আমরা কুরবানীর জন্য আরো মাসআলা পুস্ট দিবো
মুসাফিরের জন্য কোরবানি
মাসআলা: ৫
যে ব্যক্তি কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে ( অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়াতে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী
মাসআলা: ৬
নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব নয় বরং মুস্তাহাব।
দরিদ্র ব্যক্তির কোরবানীর হুকুম
মাসআলা: ৭
দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয় কিন্তু সে যদি কোরবানির নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
মাসআলা: ৮
কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করেছিল কিন্তু কোনো কারণে কোরবানি দেওয়া হয়নি তাহলে কাকুর ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।
মাসআলা: ৯
যেসব এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্যই বৃষ্টি বাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয় তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনই ও কুরবানী করা জায়েয|
কেউ যদি কুরবানীর দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার উপর কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করেছিল কিন্তু কোনো কারণে কোরবানি দেওয়া হয়নি তাহলে কাকুর ঐ পশু জীবিত সদকা করে দিবে।
মাসআলা: ৯
যেসব এলাকার লোকদের উপর জুমা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অবশ্যই বৃষ্টি বাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয় তাহলে ঈদের নামাজের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম দিনই ও কুরবানী করা জায়েয|
মাসআলা: ১০
১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত রাতেও কুরবানী করা জায়েয। তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো।
কোন, কোন, পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে
মাসআলা: ১১
উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব গৃহ পালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ, বন্য গরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়।
নর ও মাদা পশুর কুরবানী
মাসআলা: ১২
যেসব পশু কুরবানী করা জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী করা যায়।
মাসআলা: ১৩
কুরবানীর দিনগুলোতে যদি জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি ( সময়ের পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা- ও সদকা করতে হবে।
কুরবানীর পশুর বয়সসীমা
মাসআলা; ১৪
উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কম হয়, কিন্ত এমন হস্ট পুস্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে। উল্লেখ্য ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোন অবস্থাতেই তা দ্বারা কুরবানী জায়েয হবে না।
