এপ্রিল ফুল
এপ্রিল ফুলঃ কিসের আনন্দে এ উৎসব?
সাংস্কৃতিক কর্ম হিসেবে কৌতুক করে পালন করা হয় এপ্রিল মাসের প্রথম দিনটি। আদর করে (!) যার নাম দেওয়া হয়েছে "এপ্রিল ফুল"। এটা এক ধরণের ঝোঁক ও খেলা। এপ্রিলের প্রথম তারিখে একজন মানুষ অন্য জনকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে।
আমাদের দেশেও যুবক ও ছাত্ররা এপ্রিলের প্রথম তারিখে এই তামাশা করে থাকে।
অথচ এপ্রিল মাস যখন আসে, মুসলমানদের অন্তরে দুঃখজনক ও ট্রাজেডীপূর্ণ এক ইতিহাস ভেসে উঠে।
সেই ইতিহাস পড়ে ও শুনে তাদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে। আজ থেকে 522 বছর পূর্বে স্পেনে রাজা ফার্দিনান্ড ও রানী ঈসাবেলার যৌথ উদ্যোগে মুসলিমদের শেষ রাজধানী গ্রানাডা দখল করতে সক্ষাম হয়।
জ্ঞান-বিজ্ঞান শিল্প-সাহিত্য চিকিৎসা রাজনীতির স্থাপত্য শিল্প ও অর্থনৈতিক মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য রাজা ফার্দিনান্ড এক ভয়ংকর ফন্দি আঁটলো।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলো।
অবশেষে তারা রাজা রানীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।
এমতাবস্থায় ফার্দিনান্ড ঘোষনা করেছিল যারা মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিবে তাদের নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হবে।
তার ঘোষণায় 40 হাজার মুসলমান আত্মবিশ্বাসী হয়ে গ্রানাডার বিভিন্ন মসজিদে আশ্রয় নেয়।
কিন্তু নরপিশাচ রাজা ফার্দিনান্ড মসজিদের
দরজাগুলো বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে মসজিদের মেঝেতে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মুসলিমদের হত্যা করেছিল। ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে 3 দিন পর্যন্ত হত্যা কান্ডের উৎসব চলেছিল।
মসজিদের বাহিরে ও অসংখ্য মুসলিম কে আগুনে পুড়িয়ে পাহাড় থেকে ফেলে সমুদ্রের মধ্যে জাহাজ ডুবিয়ে ও গনজভাই করে হত্যা করা হয়।
অনেককে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়।..... এ সময়ে রাজা ফার্দিনান্ড উপহাস করে বলেছিল হাই মুসলমান!তোমরা হলে এপ্রিলের বোকা।
মুসলিমদের মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে বোকা বানানোর সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে এপ্রিল ফুল পালন করা হয়। পহেলা এপ্রিলের ইতিহাস সম্পর্কে ভিন্ন ঘটনা ও ভিন্নমত উল্লেখ থাকলেও এটিযে প্রসিদ্ধ এবং কোনোটিই পালনীয় নয় তা স্পষ্ট।
রাজা রানীর তখনকার মশকরা আজ ধোঁকা দিবসে পরিণত হয়েছে। মিথ্যা ও ধোঁকা সর্বদাই পরিত্যাজ্য ও ঘৃণিত।
সচল পাপের মূল হলো মিথ্যা। মহানবীর ভাষ্য মতে যারা মিথ্যা রটায় তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট।
মিথ্যা হল মুনাফিকের চিহ্ন। হাসি তামাশার চলেও মিথ্যা বলা হারাম।
অন্যকে ধোঁকা দেওয়া ও গর্হিত কাজ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, চরিত্র, ধর্ম ও সংস্কৃতি সবকিছুই যেন ভুলে গেছি। মুসলিম হিসেবে কি করনীয় তা খুঁজে দেখি না।
এপ্রিল ফুল দিবসের ইতিহাস যারা জানেন তারা এ দিবসটি পালন করেন না বরং এরকম একটি দিবস পালন কে বড় ধরণের অন্যায় বলে স্বীকার করেন।
বিবেকের দায়বদ্ধতা আমাদের থাকতে হবে।
সর্বোপরি কথা হল, স্পেন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে এসব অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করা।
ইসলামী জীবন বিধান ব্যক্তি জীবনে ধারণ করা, অমুসলিমদের রীতি -নীতির অনুসরণ করার বিষয়ে সতর্ক থাকা।
