নামাযের নিয়্যত
নামাযের নিয়্যত
কিভাবে নামাজের নিয়ত করতে হয় ঃ নামাযের ইচ্ছা করাই হচ্ছে নামাজের নিয়ত, মুখে উচ্চারণ করা জুরুরী নয়, তবে মুস্তাহাব। নিম্নে বাংলা নিয়ত ও অর্থ দেওয়া হলো।ফজরের নামায
ফজরের নামাজ মোট চার রাকাত। যথাঃ দু রাকাত সুন্নত ও দুরাকাত ফরয। প্রথমে দু'রাকাত সুন্নত এবং পরে দু'রাকাত ফরয আদায় করতে হয়।
ফজরের দু'রাকাত সুন্নত এর নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসালি্লয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই সালাতিল ফাজরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ ফজরের দু'রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজের নিয়্যত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকা'তাই ছালাতিল ফাজরি ফারদ্বুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ।
অর্থঃ ফজরের দু'রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
যোহরের নামায
জোহরের নামাজ মোট দশ রাকাত আদায় করতে হয়। যেমন প্রথমে চার রাকাত সুন্নত, এর পর চার রাকাত ফরজ এবং এরপর দু'রাকাত সুন্নত, নিম্নে বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ নিয়তসমূহ লেখা হলো।
যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়্যত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবায়া রাকা'আতি ছালাতিয যোহরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে কেবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।
যোহরের চার রাকাত ফরয নামাযের নিয়্যত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবা'আ রাকা'আতি ছালাতিয্ যোহরি ফারদ্বুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ যোহরের চার রাকাত ফরয নামায আদায় করার জন্য কেবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম আল্লাহু আকবার।
যোহরের দু'রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়্যত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকা'তাই ছালাতিল যোহরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার
অর্থঃ যোহরের দু'রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য কেবলা মুখে হয়ে নিয়ত করলাম,
আল্লাহু আকবার।
আছরের নামাজ
প্রকাশ থাকে যে, আছরের চার রাকাত ফরয নামাযের পূর্বে চার রাকাত সুন্নতে যাওয়ায়েদ (অতিরিক্ত) নামায আছে। কোন লোক যদি এর চার রাকাত নামাজ আদায় করে তাহলে অনেক সাওয়াব পাবে। আর যদি কোন লোক আদায় না করে তাহলে কোন পাপ হবে না। তবে যেহেতু সাওয়াব আছে সেহেতু আদায় করা উত্তম।
আসরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়্যত
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবায়া রা'কাআতি ছালাতিল আছরি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃআছরের চার রাকাত সুন্নত নামায আদায় করার জন্য কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
আছরের চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়্যত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবায়া রা'কাআতি ছালাতিল আছরি ফারদ্বুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ আছরের চার রাকাত ফরয নামায আদায় করার জন্য কেবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
মাগরিবের নামাজ
মাগরিবের নামাজ মোট পাঁচ রাকাত। যেমন তিন রাকাত ফরয আর দু রাকাত সুন্নত।
মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজের নিয়্যত
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রা'কাআতি ছালাতিল মাগরিবে ফারদ্বুল্লাহি তা'য়াল মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়্যত
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাক'আতাই সালাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থ মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করার জন্য কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
এশার নামাজ
এশার নামায মোট দশ রাকাত। যেমন চার রাকাত সুন্নত চার রাকাত ফরজ ও দু'রাকাত সুন্নত এশার নামাজের পূর্বে ও আসরের নামাজের ন্যায় চার রাকাত সুন্নাতে যায়েদাহ নামাজ আদায় করলে অসংখ্য ছাওয়াব পাওয়া যায়। আর না পড়লে কোন গুনাহ হবে না, তবে সময় থাকলে পড়ে নেয়া ভালো।
প্রকাশ থাকে যে বেতের নামাজ যদিও পৃথক সময়ের নামাজ কিন্তু এ নামাজ মানুষ সাধারণত এশার নামাজের সাথে আদায় করে থাকে বলে এ তিন রাকাত বেতের নামাজ কে এশার নামাজের পরে উল্লেখ করা হলো।
এশার চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়্যত
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবায়া রা'কাআতি ছালাতিল এশায়ে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ এশার চার রাকাত সুন্নাত নামায আদায় করার জন্য কেবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়্যত
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবায়া রা'কাআতি ছালাতিল এশাায়ে ফারদ্বুওল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
এশার দু রাকাত সুন্নাত নামাযের নিয়্যত
বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকা'আতাই ছালাতিল ইশায়ে সুন্নতু রাসূলিল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ এশার দু'রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার জন্য কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।
বেতের নামাজের সময় ও নিয়ম
বিভিন্ন ইমাম সাহেব গণের মতে বেতেরের নামাজ এশার নামাজের পর হতে সুবহি সাদিকের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত থাকে কিন্তু আমাদের ইমাম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহ আলাই এর মতে এশা ও বেতারের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয়। কিন্তু যারা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকার অভ্যাস করেছেন কেবল ওই সব লোকেরাই শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পর বেতেরের নামাজ আদায় করতে পারেন। কেননা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নিয়মেই আদায় করতেন।
আর যাদের শেষ রাতে ঘুম হইতে জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস নেই তারা অবশ্যই এশার নামাজের সাথেই আদায় করবে। বেতেরের তিন রাকাত নামাজের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে যথারীতি দু রাকাতের পর বসে তাশাহুদ পাঠ করে দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাকাতে সুরা কেরাত পাঠ করে পুনরায় তাহরীমা বেঁধে দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করে যথারীতি রুকু সেজদা ও শেষ বৈঠকের পর সালাম ফিরিয়ে নামায সমাপ্ত করবে।
তিন রাকাত বিতর নামাজের নিয়্যত
বাংলা উচ্ছারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা ছালাছা রা'কাআতি ছালাতিল বেতের ওয়াজিবুল্লাহি তা'আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য কেবলা মুখী হয়ে নিয়্যত করলাম, আল্লাহু আকবার।

Welcome
উত্তরমুছুন