আকায়েদ ও ঈমানের বিবরণ এবং ঈমানকে দৃঢ় করুন


আকায়েদ
আল্লাহ ঃ যিনি আমাদের মা'বুদ অর্থাৎ, যাঁহার 
ইবাদত আমরা করি, যিনি সর্বশক্তিমান, যাঁহার হুকুমে সমস্ত কিছু সৃষ্টি হইয়াছে ধ্বংস হইবে, যাঁহার কোন শরিক নাই, যিনি সমস্ত কিছু দেখিতে ও শুনিতে পান, যিনি অনাদি অনন্ত, যিনি কেয়ামতের দিন আমাদের ভাল মন্দের বিচার করিবেন।
 তিনিই আল্লাহ।

রাসূল ঃ আল্লাহ পাক যুগে যুগে পথভ্রষ্ট মানুষকে 

হিদায়াতের জন্য সর্বগুণসম্পন্ন নবী ও রাসূলগণকে বিশেষ বিশেষ কিতাবসহ পাঠাইয়াছে।
তাঁহারা বিপথগামী মানুষকে আল্লাহর বাণী দ্বারা হিদায়াত করিয়া তাহাদের মধ্যে শান্তি স্থাপন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি 
ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
তাঁহার পর আর কোন নবী দুনিয়াতে আসবেন না। তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার করিয়াছেন ও আল্লাহর বাণী সকলকে শুনাইয়াছেন।


কুরআন শরিফ ঃ আল্লাহ প্রেরিতে ধর্মগ্রন্থ।

 ইহা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি 
ওয়াসাল্লাম এর উপর হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম এর মারফতে নাজিল হইয়াছে। ইহাতে মানুষের ভাল মন্দ ও যাবতীয় হুকুম আহকাম লিপিবদ্ধ আছে।
প্রকাশ থাকে যে, সর্বমোট ১০৪ (একশত চার) খানা আসমানী কিতাব।
তন্মধ্যে ১০০ (একশত) নাম সহিফা এবং বাকি চার খানার নাম কিতাব।
বাকি চার খানার নাম  যথাঃ (১) তাওরাত 
(২) যবূর (৩) ইঞ্জিল (৪) কুরআন মাজীদ। 


হাদীস ঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি 

ওয়াসাল্লাম যা বলিয়াছেন বা নিজে করিয়াছেন 
অথবা কাহাকেও (সাহাবাদেরকে )করিতে দেখিয়া 
নিষেদ করেন নাই, তাহাই হাদীস।


ফরয ঃ কুরআন হাদীসের অকাট্য দলীল দ্বারা 

যেসব হুকুম-আহকাম নির্দেশিত হইয়াছে তাহাই ফরয।
যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রমযানের রোযা এবং 
মালের যাকাত ইত্যাদি।


ওয়াজিব ঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি 

ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে 
এবং না করার প্রতি ওয়ায়ীদ (ভীতি প্রদর্শন করা 
হইয়াছে) আছে, তাহাই ওয়াজিব।
যেমন বিতরের নামায।


সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্ ঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি 

ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে 
এবং না করার উপর ওয়ায়ীদ নাই।
তাহাই সূন্নাতে মুআক্কাদাহ্ ।
যেমন যোহরের সূন্নত নামায।


সূন্নতে গাইরে মুআক্কাদাহ্ ঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 

আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমানিত আছে এবং কম সময় তাহা পরিত্যাগ 
করিয়াছেন, তাহাই সূন্নতে  গাইরে মুআক্কাদাহ্। যেমন
আসরের নামাযের (পূর্বে ) চার রাকাত সূন্নত।

মুস্তাহাব ঃ যাহা করিলে সাওয়াব আছে, না করিলে 
গুনাহ নাই তাহাই মুস্তাহাব।

ঈমানের বিবরণ
ইসলাম ধর্ম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত।
যথা কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত।
কালিমাহ্ না জানিলে ও আন্তরিকভাবে স্কীকার না 
করিলে কেহই মুসলমান বা ঈমানদার হইতে পারে না।
ছয়টা কালিমা হইতে কালিমা তাইয়্যেবা ও 
শাহাদাত কে মুখে উচ্চারণ করা ও অর্থ বুঝিয়া 
অন্তরে বিশ্বাস করিয়া মানিয়া লওয়া মুসলমানদের 
জন্য প্রথম ফরজ।

১। কালিমা তাইয়্যেবা ঃ 
لا اله الا الله محمد رسول الله
অর্থ ঃ আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত
 (ইবাদতের উপযুক্ত) আর কোন মা'বুদ নাই।
হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা'আলার রাসুল।

২। কালিমাতুশ্ শাহাদাহ্ ঃ 
اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمد ا عبده ورسوله
অর্থ ঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ তা'আলা 
ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত আর কোন মা'বুদ নাই। 
আমি আর ও সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ 
মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ 
তা'আলার বান্দা ও রাসূল।



ঈমানকে দৃঢ় করুন
আল্লাহ যে একজন আছেন, তিনি সর্বশক্তিমান,
সর্বজ্ঞ।
তিনি পরকালে হিসাব নিবেন।
সেই হিসাবের জন্য তিনি নিষ্পাপ ফেরেশতাদের মারফতে নিষ্পাপ রাসূলের কাছে নির্ভূল কুরআন এবং নিখুঁত আদর্শ (সুন্নত) পাঠাইয়াছেন।
মানুষকে কাজ করার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ শক্তি দিয়াছে, কাহাকেও সীমাহীন ক্ষমতা প্রদান করেন নাই বা কাহাকেও একেবারে অক্ষমও করেন নাই। সব মানুষকে তিনি মৃত্যু দিনের এবং মৃত্যুর পর আবার সকলকে পুনরায় জীবিত করিবেন।
যাহারা আল্লাহকে বিশ্বাস করিয়াছে,আল্লাহর 
মনোনীত নিয়ম অনুসারে জীবন যাপন ও চরিত্র 
গঠন করিয়াছে, পুনর্জীবিত করে আল্লাহ তাহাদিগকে চিরশান্তির জান্নাত দান করিবেন।
আর  যাহারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে নাই, আল্লাহর 
মনোনীত নিয়মের বিরুদ্ধে জীবন যাপন করিয়াছে,
তাহাদিগকে চিরকাল দুঃখ-দুর্দশায় জাহান্নামের 
ভীষণ যন্ত্রণায় শাস্তি প্রদান করিবে।
এই কয়টি কথা অন্তর দিয়া বিশ্বাস করার নামই হইল ঈমান।

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.