ঈমান ও আকীদা



                       ঈমান ও আকীদা

ঈমান ও আকিদা।
অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা ও মানাকে  ঈমান ও আকিদা বলে।
আল্লাহযে আছেন আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে
এবং ঈমান রাখতে হবে যে আল্লাহ এক
তাঁর কোন শরীক নাই
তার:-ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী-পুত্র, পিতা-মাতা কিছুই নাই
এসব হতে তিনি পাক-পবিত্র।
তিনি সর্বশক্তিমান।
এ জগতের সবকিছু তিনিই সৃজন করেছেন
তাই তিনি সৃষ্টিকর্তা।
তিনি সবাইকে পালন করেন ও খাওয়ান।
হায়াত ও মৃত্যু  সবই তাঁর হাতে।
তিনি সবকিছুর মালিক রাব্বুল আলামীন।

রসূল:(সাঃ) আমাদেরকে অন্তর দিয়ে আরো বিশ্বাস করতে ও মানতে হবে যে, আল্লাহ পাক অসংখ্য নবী ও রাসূল সৃষ্টি  করেছেন।
সকলের উপর ঈমান আনতে হবে ও সকলকে সম্মান করতে হবে।
সর্বশেষ নবী ও রাসূল হলেন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তিনি আমাদের একমাত্র আদর্শ রোল মডেল ।
তাঁর দেখান পথই আমাদের একমাত্র পথ।
তাঁরপর আর কোন রাসূল বা নবী আসবেন না।
যে বা যারা তাঁকে সর্বশেষ নবী ও রাসূল বলে স্বীকার করবে না, তারা মুসলমানের কাতারে পড়ে না।

কুরআন শরীফঃ কোরআন শরীফ আল্লাহর পিরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব ও পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
মানুষের হিদায়াত ও কল্যাণে কিয়ামত পর্যন্ত যত জ্ঞানের দরকার, সমুদয় বিষয়ের মৌলিক জ্ঞান এ কিতাবে মওজুদ আছে।
এ কুরআনই মানব জাতির একমাত্র হিদায়াত ও কল্যাণের পথ প্রদর্শক।
কিয়ামত পর্যন্ত এ কিতাব অবিকল অক্ষত থাকবে। কেউই বিকৃত করতে পারবে না।
কুরআনে বর্ণিত বিধান  মানতে হবে ও তদনুযায়ী আমাদেরকে চলতে হবে।
কোরআন শরীফের বিধান ও হিদায়াত অনুসরণ
করতে হবে।
যে কুরআন শরীফ বা উহার কোন বিধান অস্বীকার করবে, সে মুসলমান থাকবে না, কাফের হয়ে যাবে।

হাদীস শরীফঃ আমাদের নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীসমূহ, তাঁর কাজকর্ম, তাঁঁর আচার-আচরণ ও সমর্থন সমূহকে হাদীস বলা হয়।
মূলতঃ হাদিস শরীফ কুরআন শরীফেরই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ।
তাই হাদিস শরীফও মেনে চলতে হবে।
না মানলে গোমরাহ হয়ে যাবে।

ফিরেশতাঃ  আল্লাহ পাক ফিরিশতা নামের  নূরের তৈরি একদল বান্দা সৃষ্টি করেছেন।
তাদের সংখ্যা অগণিত।
আল্লাহ পাক তাদের দিয়ে অনেক কাজ করান।
এঁদেরকেও স্বীকার করতে ও সম্মান করতে হবে।

পরকালঃ আমরা দুনিয়ায় বাস করছি।
দুনিয়া হল ইহকাল।
মৃত্যুর পরের কালকে বলা হয় পরকাল।
পরকালকে বিশ্বাস করতে হবে।
পরকালে সকলের বিচার হবে।
এ বিচারের জন্য সকলকে কবর থেকে উঠতে হবে।যারা পরকাল বিশ্বাস করবে না, তারা কাফের হয়ে যাবে।

পুনঃরুথানুঃ বিচারের জন্য কবর থেকে সকলকে পুনঃরায় উঠতে হবে এবং হাশরের মাঠে একত্রিত হতে হবে।

বিচারঃ হাসরের মাঠে সকল মানুষের বিচার হবে। আল্লাহ পাক নিজেই সব বিচার করবেন।

পুলছিরাতঃ  বিচারের পর সকলকে একটি পুল পার হতে হবে।
যারা পার হয়ে যেতে সক্ষম হবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আর যারা পার হতে পারবে না তারা জাহান্নামে পতিত হবে।

ছাহাবায়ে কিরামঃ আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছেন বা ইসলাম গ্রহণের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছেন এবং মুসলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁরা সবাই ছাহাবী। তাঁদেরকে সর্বদা সম্মান করতে হবে।
তাঁরা ইসলামের নমূনা ও আদর্শ।
তাঁদের অনুসরণ করে আমাদের চলতে হবে।

বুযুর্গানে দ্বীনঃ যারা কোরআন হাদীসের গভীর জ্ঞান আহরণ করেছেন এবং তার উপর আমল করেছেন, তাঁরা সবাই হক্কানী আলেম ও বুযুর্গানে দ্বীন।
তাঁরাও আমাদের আদর্শ ও পথ প্রদর্শক।
তাঁদেরও অনুসরণ করে চলতে হবে।
তাঁদের আদেশ-নিষেধ মানতে হবে।
তাঁদের থেকে ইসলামের বিধি-বিধান জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী চলতে হবে।
এঁদেরকেও সম্মান করতে হবে।


তাকদীরঃ ভাল-মন্দ সব কিছু আল্লাহর নির্ধারিত বিধান মতে হয়।
মৃত্যু যখন যে ভাবে লেখা আছে, তখন সেভাবে তার মৃত্যু হবে, আগ-পিস হবে না।

জান্নাতঃ হাশরের ময়দানে আল্লাহ পাক স্বয়ং বিচারক হয়ে বিচার করবেন।
বিচারে যারা মুক্তি পাবে, তাদের সুখ শান্তির জন্য যে জায়গা দেয়া হবে, একে জান্নাত বা বেহেশ্ত বলে।

জাহান্নামঃ আর হাশরের অপরাধী হলে মুক্তি পাবে না, তাদের শাস্তির জন্য যে জায়গায় পাঠানো হবে।
একে জাহান্নাম বা দোযখ বলে।

কিয়ামত- এই পৃথিবী এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে হযরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম নামে এক ফেরেশতা আছেন।
আল্লাহর হুকুম হলে তিনি সিঙ্গায় ফুঁক দিবেন।
এ ফুঁকে প্রচন্ড আওয়াজ হবে।
এ আওয়াজে দুনিয়ায় যা কিছু আছে, সব তূলার ন্যায় উড়তে থাকবে।
এক সময় সব বিলীন হয়ে যাবে।
এটাকে বলে কিয়ামত।
এতক্ষণ পর্যন্ত যা কিছু বলা হল, সব ঈমানের কথা।
এ বিষয়গুলো বিশ্বাস করতে হবে ও মানতে  হবে।বিশ্বাস করা ও মানার নাম ঈমান।


পোস্টটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য জিমেইল দিয়ে সাবমিট করে দিবেন।
 আর কমেন্টস করে  অবশ্যই আপনার মতামত জানাবেন। 

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.