আদব দ্বিতীয় পর্ব

আদব দ্বিতীয় পর্ব্

২৮নাম্বার
মিসওয়াকের আদবঃ

প্রত্যহ ভোরে ঘুম থেকে উঠে দ'আ পড়বে মুখমন্ডল ও চক্ষু মর্দন করবে।
তারপর আগে দু' হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করবে।
তারপর মিসওয়াক করবে।
কনিষ্ঠা আঙ্গুলের মত মোটা ও এক বিঘাত লম্বা গাছের ডাল দ্বারা মিসওয়াক করবে।
মিসওয়াকের জন্য পিলু গাছের শিকড় উত্তম।
নিম গাছের ডাল বা শিকর দিয়েও মেসওয়াক বানানো যায়।
এমন গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক বানাবে না যা শক্ত বা দাঁতের ক্ষতি করে।
দৈনিক পাঁচবার নামাজের পূর্বে উযূ করার সময় মিসওয়াক করবে।
শোয়ার পূর্বে এবং ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করবে।


২৯নাম্বার
পরিষ্কার পরিছন্নতাঃ

প্রতি শুক্রবার হাত পায়ের নখ কাটবে।
মাথার চুল বড় হলে ছেটে নিবে।
কাপড় চোপড় ধৌত করবে।
সর্বদা পরিষ্কার পরিছন্নতা থাকবে।
হাতে মুখে যেন ময়লা না থাকে।
যেখানে সেখানে থু-থু ফেলবে না।
যখন-তখন যেখানে সেখানে নাক ছাফ করবে না।
উযূর সময় ভাল করে নাক ছাফ করবে।
নাক ছাফ করে দেয়ালে বা এদিকসেদিক হাত
 মুছবে না।
বরং পকেটে পরিষ্কার রুমাল রাখবে, তাতে হাত মুছবে। মাঝে মাঝে হাতে সাবান ব্যবহার করবে।
মাথার চুল খুব ছোট করে রাখবে অথবা কামিয়ে ফেলবে।

৩০নাম্বার
পোশাক-পরিচ্ছদঃ

লুঙ্গি বা আরবি পাজামা ও লম্বা জামা ব্যবহার করবে। হাফ শার্ট, হাফ প্যান্ট ও ফুল প্যান্ট ব্যবহার করবে না। টাখনুর উপরে লুঙ্গি, জামা, পাজামা, চাদর, আবা ইত্যাদি ব্যবহার করবে।
জামা কমপক্ষে হাঁটুরনীচ পর্যন্ত লম্বা হতে হবে।
তবে নিছ্ফ্ ছাক হওয়া উত্তম ।
মাথায় সর্দা টুপি ও পাগড়ী ব্যবহার করবে।
জামা পরিধানের সময় ডান দিক থেকে পরিধান করবে ও খোলার সময় বাম দিক থেকে খুলবে।
পাজামা বসে পরিধান করবে।
নতুন কাপড় শুক্রবার হতে পরিধান করবে ও দু'আ পড়বে।


৩১নাম্বার
তেল ব্যবহারের নিয়মঃ

প্রথমে বাম হাতের তালুতে তেল ঢালবে।
এখান থেকে ভ্রুতে, তারপর চোখে ও মুখমন্ডলে মলবে।তারপর মাথায় ও দেহে মলবে।
সর্বশেষ পায়ে মলবে।
শিশি বা বোতলের  মুখে হাতের তালু লাগিয়ে তেল ঢালবে না।
বরং শিশি বা মুখ সরিয়ে উঁচূতে রেখে তেল ঢালবে।

৩২নাম্বার
নামাযের জন্য বের হবার আদবঃ

ঘর থেকে উযূ করে বের হবে।
নফল ও সুন্নত মাঝে-মধ্যে ঘরেও পড়বে।
অতঃপর মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সাথে ফরয নামায আদায়ের নিয়্যত করে বের হবে।
বের হবার সময় এ দু'আ পড়বে-
 بِسْمِ اللّٰهِ تَوَ كَّلْتُ عَلَی اللّٰهِ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللّٰهِ
ধীরে ধীরে পথ চলবে মসজিদে গিয়ে সামনের কাতারে জায়গা নিবে।
 তবে পরে গিয়ে আগের কাতারে যাবার চেষ্টা করবে না।

৩৩নাম্বার
মসজিদের আদবঃ

মসজিদে প্রবেশের সময় আগে বা' পায়ের জুতা খুলবে। তারপর ডান পায়ের জুতা খুলবে।
অতঃপর ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করবে। মসজিদে প্রবেশের সময় সালাম, দু'আ ও দুরুদ পড়বে। আর নফল ই'তিকাফের নিয়্যত করবে।
মসজিদে অবস্থান কালে দু'আ পড়বে।
বের হবার সময়ও দু'আ পড়বে।
যতক্ষণ মসজিদে অবস্থান করবে নামায, তিলাওয়াত, যিকির ও দু'আর মধ্যে মগ্ন থাকবে।
এগুলো আস্তে আস্তে করবে।
যাতে কারোর নামাযের ক্ষতি না হয়।
মসজিদে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলবে না।
হাসাহাসি করবে না।
মসজিদে থুথু ফেলবে না।
আঙ্গুল ফুটাবেনা।
মসজিদ সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে।
খুশবুদার রাখবে।
নামাযীদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাবে না।
কোন নামাযীর সামনে বসা থাকলে, নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত বসে থাকবে।
কোন নামাযীর সামনে দিয়ে লোক চলাচল করলে নামাযীর সামনে বসে পড়বে।
যারা ছোট শিশু মসজিদের আদব ও নামাজ বুঝে না, তাদেরকে মসজিদে আনবে না।

৩৪নাম্বার
উলামায়ে কিরামের আদবঃ

উলামায়ে কিরাম হচ্ছেন নায়েবে নবী-নবীর ওয়ারিস। কাজেই তাঁদের সম্মান করতে হবে।
মর্যাদা দিতে হবে।
তাঁদের কথা মত চলতে হবে।
তাঁদের অনুকরণ অনুসরণ করতে হবে।
কোন প্রকার বেয়াদবি করা যাবে না।
আদবের সাথে কথা বলতে হবে।
আগে আগে হাঁটা যাবে না।
পথ ছেড়ে দিতে হবে।
আগে সালাম দিবে।
মাঝে মাঝে খিদমতে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় মাসয়ালা জিজ্ঞেস করবে।
মাঝে-মধ্যে উলামা ও পীর বুজুর্গদের মজলিসে সময় কাটাবে ও তাদের থেকে দু'আ নিবে।

৩৫নাম্বার
মজলিসের আদবঃ

মজলিসে উপস্থিত হয়ে যেখানে জায়গা পাবে, সেখানেই বসে পড়বে।
তবে মুরব্বীদের বসার জায়গায় বসবে না।
মুরুব্বিদের সামনের চেয়ারে বসবে না।
অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলবে না।
চুপচাপ কথা শুনবে।
কিছু জিজ্ঞেস করলে সুন্দর ভাবে জবাব দিবে।হাসাহাসি করবে না।
কাউকে সরিয়ে দিয়ে তথায় বসবে না।
কেউ আসলে তাকে জায়গা দিতে চেষ্টা করবে।
হাঁচি আসলে কাপড় দিয়ে মুখ চেপে হাঁচি দিবে। মুরুব্বীদের সামনে দু' জানু হয়ে বসবে।
কারোর দিকে পা দিবে না।
মজলিস শেষে এ দু'আ পড়বে-
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ اَشْهَدُ اَنْ لَّٓا اِلٰهَ اِلَّٓا اَنْتَ اَسْتَغْفِرُكَ وَاَتُوْبُ اِلَيْكَ


৩৬নাম্বার
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করার আদবঃ

উযূ করে কোরআন শরীফ ধরতে হবে।
বিনা উযূতে কুরআন শরীফ ধরা যাবে না
বিনা উযূতে ধরলে গুনাহ হয়।
ডান হাতে ধরতে হবে।
দু' জানু হয়ে বসে এবং কেবলা মুখী হয়ে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে হয়।
কুরআন শরীফ সামনে রেখে দুনিয়ার কথা বলা অন্যায়।
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সকাল বেলায় কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে।
পবিত্র স্থানে বসে কিবলামুখী হয়ে খুশবূ ব্যবহার করে কুরআন শরীফ উঁচু স্থানে রেখে তেলাওয়াত করবে।তিলাওয়াতের মাঝপ কখনও গল্প-গুজব করবে না। পাশে কেউ তিলাওয়াত করলে মনোযোগ সহকারে তা শুনবে।
নিকটবর্তী লোকজন শোনার ব্যাপারে মনোযোগী না হলে আস্তে আস্তে তিলাওয়াত করবে।

* সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত এর পর اٰمِيْنَ  তিনবার বলতে হবে।
* সূরা اَلْبَقَرَةُ শেষ করে  اٰمِيْنَ বলবে।
* সূরা আর রহমান এর মধ্যে যতবারই ফাবি আইয়ে আলা ই রব্বিকুমা তুকাজ্জিবান পড়বপ,
 ততবারই উহার পর এ দু'আ পড়বেঃ
وَلَا شَيْیَٔ مِنْ نِّعَمِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ

* সূরা وَالْمُرْ سَلَاتِ শেষ করে বলবে اٰمَنَّا بِا للّٰهِ

* সূরা   لَٓا اُقْسِمُ শেষ করে বলবে بَلٰی

* সূরা   سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْاَعْلٰی শেষ করে বলবেঃ سُبْحَانَ رَبِّیَ الْاَعْلٰی

* সূরা وَالتِّيْنِ শেষ করে বলবেঃ بَلٰی وَاَنَا عَلٰی ذٰالِكَ مِنَ الشَّاهِدِيْنَ

* সূরা থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি সূরা পাঠ করে সামান্য বিরতি দিয়ে তাকবীর  বলবেঃ
 لَٓا اِلٰهَ اِلّٰا اللّٰهُ وَاللّٰهُ اَكْبَرْ اَللّٰهُ  اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ

* সিজদার আয়াত আসলে উহা তিলাওয়াত করে সাথে সাথে সিজদা করে নিবে।
সিজদায়ে তিলাওয়াত হল দাঁড়িয়ে সোজা সিজদায় চলে যাবে।
মাঝে কোন রুকু নাই।
সিজদাও একটি মাত্র।
একাধিক সিজদা দিতে হলে প্রতিবারে দাঁড়িয়ে তারপর সিজদায় যেতে হবে।
সিজদার মধ্যে সিজদার তাসবীহ পাঠ করবে।

* কোরআন শরীফ খতম হলে পর পূনঃ শুরু করে রাখতে হয়।
এর জন্য আলিফ লাম থেকে আরম্ভ করে মুফলিহুন পর্যন্ত পড়তে হয়।

৩৭নাম্বার
দু'আ করার আদবঃ

আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়ার পূর্বে উযূ করা।
কিছু দান করা ও নামায পড়া উত্তম।
এরপর কেবলামুখী হয়ে দুরুদ শরীফ পড়ে কায়মনোবাক্যে দু'আ করবে।
দু'আর শেষেও দুরুদ শরীফ পড়বে।
দু'আর সময় দু' হাত মেলে কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে দু'আ করবে।
এ কথা মনে রাখতে হবে যে, সব কিছুর মালিক আল্লাহ।
দেয়ার মালিকও তিনি।
আমরা শুধু চাইতে পারি।
আর পূরণ করবেন আল্লাহ।
চোখের পানি ফেলে দু'আ করবে।
দু'আর সময় কখনও আকাশ পানে তাকাবে না। আল্লাহর নাম সমূহ উল্লেখ করে করে কামনা পেশ করবে।
দু'আর মধ্যে কোন রং ঢং করবে না।
নবী-রাসূলগণের অছীলা দিয়ে দু'আ করবে।
মনে মনে দু'আ কবুলের আশা রাখবে।
আওয়াজ নিচু রাখবে।
নিজেদের গোনাহ, ভুল ত্রুটি স্বীকার করে তজ্জন্যও তওবা ইস্তেগফার করবে।
ক্ষমা চাইবে।
হাদীস শরীফে ও কোরআন শরীফে বর্ণিত দু'আগুলো বেশি বেশি পড়বে।


৩৮নাম্বার
চুল ছাটার নিয়মঃ

মাথার চুল ছেঁটে ছোট করে রাখবে।
চারপাশে একই রকম রাখবে।
অথবা কামিয়ে ফেলবে।
একদিন পর একদিন মাথায় তেল ব্যবহার করা ও চুল আচঁড়ানো সুন্নাত।
হাতের আঙ্গুল বা চিরুনি দ্বারা মাথা আচড়িয়ে মাদ্রাসায় যাবে।
ডান দিক হতে চুল আচঁড়ানো সুন্নাত।


৩৯নাম্বার
নখ কাটার নিয়মঃ

নাখ সর্বদা ছোট করে রাখবে।
ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল হতে শুরু করে বা' হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলী পর্যন্ত কাটবে।
দাঁত দিয়ে কখনও নখ কাটবে না।
একটু মরা নখ রেখে নখ কাটতে হবে।


৪০নাম্বার
নাক ছাফ করার নিয়মঃ

উযূর সময় নাক ভাল করে ছাফ  করবে।
উস্তাদের সামনে, মেহমানের সামনে, খাওয়ার সময় নাক ছাফ করবে না।
দরকার হলে বাইরে গিয়ে নাখ ছাফ করে আসবে।
রুমাল দিয়ে নাক মুছে ফেলবে।

৪১নাম্বার
জিনিসপত্র সাজিয়ে গুছিয়ে রাখাঃ

কাপড়-চোপড়, জুতা-স্যান্ডেল ও অন্যান্য আসবাবপত্র সর্বদা সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবে।
এলোমেলো এখানে সেখানে ফেলে রাখবে না।
নির্দিষ্ট স্থানে জুতা-স্যান্ডেল রাখবে।
নির্দিষ্ট স্থানে আলো-বাতি, হ্যারিকেল, ম্যাচ রাখবে।
যাতে অন্ধকারেও পাওয়া যায়।
কিতাবপত্র, বই পুস্তক, খাতাপত্র ইত্যাদিও নির্দিষ্ট স্থানে রাখবে।
যাতে তালাশ করতে না হয়।
এভাবে সব জিনিসপত্র ঘরের মধ্যে সর্বদা সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে, সুন্দর করে রাখবে।

42নাম্বার
জামাআতে নামায পড়ার সুন্নাতসমূহঃ

(ক) সর্বদা আযান ও ইকামাতসহ জামায়াতের সঙ্গে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবে।
(খ) তাকবীরে উলার সহিত নামায পড়ার অভ্যাস গড়বে।
(গ) মসজিদে যাবার জন্য ঘর থেকে তাড়াতাড়ি বের হবার চেষ্টা করবে কেননা হাদিসে রয়েছে।
"মানুষ যতক্ষণ মসজিদে নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে নামাযের সওয়াব পাবে।"
(ঘ) ইকামাতের পূর্বেই কাতার ভালভাবে সোজা করে নিবে।
মাঝে ফাঁক না রেখে, পরস্পরে গায়ে গায়ে দাঁড়াবে। হাদীসে কাতার সোজা করে দাঁড়াবার খুব তাগিদ এসেছে।
কাতার সোজা করার পদ্ধতি-সকলে কাঁধে কাঁধে মিশে এবং পায়ের গোঁড়ালী বরাবর করে দাঁড়াবে।
পায়ের আঙ্গুল সমান না হলে কোন দোষ নাই।
পরে ইকামত দিবে।
পা দু'টি সোজা কেবলামুখী করে দাঁড়াবে।
দু' পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল হতে অনুর্ধ আধা হাত পর্যন্ত ফাক রাখা যাবে।
(ঙ) ঘরে একাকী ফরয নামায পড়ার চেয়ে মসজিদে জামায়াতের সঙ্গে ফরয নামায আদায় করলে ২৭ গুণ বেশী সওয়াব পাওয়া যায়।
আযান শুনে কোন প্রকার অপারগতা ছাড়া মসজিদের জামায়াতে শরীক না হলে নামাযের সওয়াব পরিপূর্ণ পাওয়া যাবে না।

৪৩নাম্বার
মাদরাসায় পড়ার নিয়্যাতঃ

যারা মাদ্রাসায় পড়ছে, তারা এই নিয়্যত করবে যে, আমি ইলম শেখার জন্য মাদ্রাসায় পড়ছি।
তাই কুরাআন ও হাদীসের ইলম আহরণ করব। ইসলামের বিধি-বিধান জানব উহার উপর আমল করব।
 আল্লাহকে চিনব, জানব।
আল্লাহ পাক যাতে রাজী খুশী থাকেন, সেই কাজ করব।
ইহকালে সুখী থাকব এবং পরকালে বেহেশতে যাব।

৪৩নাম্বার
মুমূর্ষু ব্যক্তির জন্য করণীয়ঃ

মুমূর্ষু ব্যক্তির মাথা উত্তর দিকে রেখে ডান কাতে শোয়াবে।
অথবা চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে মুখমন্ডল ক্বেবলামুখী করে দিবে।
তারপর মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট বসে জোরে জোরে কালেমায়ে তাইয়্যেবা ও কালিমায়ে শাহাদাত পড়তে থাকবে।
তবে মুমূর্ষ ব্যক্তিকে কিছু পড়ার জন্য বলবেনা।
শিয়রে বসে সূরা ইয়াছীন ও সূরা রা'দ তিলাওয়াত করবে।

৪৪নাম্বার
নিজ ঘরে  প্রবেশের নিয়মঃ
নিজ ঘরে প্রবেশের সময় দরজার কড়া নাড়া দিয়ে বা খাঁখাঁর দিয়ে প্রবেশ করবে।
অর্থাৎ অবহিত করে ঘরে প্রবেশ করবে।
প্রবেশ করে সবাইকে সালাম দিবে।


৪৫নাম্বার
অন্যের ঘরে প্রবেশের নিয়মঃ

বিনা অনুমতিতে কারো ঘরে প্রবেশ করবে না।
কারো ঘরে প্রবেশ করতে হলে ঘরের নিকট গিয়ে তিনবার পর পর জোরে সালাম দিবে।
সালামের উত্তর পাওয়া গেলে নিজের পরিচয় দিয়ে প্রবেশের অনুমতি চাইবে।
অনুমতি দিলে প্রবেশ করবে।
অনুমতি না দিলে চলে আসবে।
অনুরূপভাবে কোন অফিস বা বৈঠকে প্রবেশ করতে হলে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে।
বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করবে না।

৪৬নাম্বার
লেনদেনের আদবঃ
কাউকে কিছু দিতে বা কিছু নিতে হলে ডান হাত দিয়ে দিবে ও নিবে।
 বা' হাত দিয়ে কিছু দিবে না এবং নিবে না।

৪৭নাম্বার
সুরমা ব্যবহারঃ

 সুরমা ব্যবহার করা সুন্নাত।
রাতের বেলায় শোওয়ার পূর্বে সুরমা ব্যবহার করবে। প্রতিটি চোখে তিনবার করে লাগাবে।
আগে ডান চোখে, তারপর বা' চোখে লাগাবে।


৪৮নাম্বার
রোগীর খবর নেয়াঃ

যে কোন রোগী দেখতে যাওয়া, খোজ-খবর নেয়া, সান্ত্বনা দেয়া এবং সেবা শুশ্রুষা করা সুন্নাত।
সান্ত্বনা দেয়ার জন্য রোগীর কপালে হাত রেখে দু'আ করা সুন্নাত।
সাক্ষাত সংক্ষিপ্ত হওয়া সুন্নাত।

পোস্টটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্লিজ শেয়ার এন্ড কমেন্ট জিমেইল দিয়ে লগইন হয়ে নিবেন সাবমিট করে দিয়ে

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.