নামাযের মাকরুহসমূহ
তবে খুব জরুরী কিছু তুলে ধরা হলো।
নামাযের কোন ওয়াজীব যদি ছেড়ে দেয় তাহলে নামায মাকরুহ তাহরিমী হয়ে যায়।
অর্থাৎ খুব কঠিন মাকরুহ এটা।
এক্ষেত্রে নামায পুনরায় পড়া ওয়াজিব।
সুন্নতে মুআক্কাদা তরক করলেও নামায পুনরায় পড়বে। হ্যাঁ, যদি মুস্তাহাব ছুটে যায় তাহলে নামায সহীহ হয়ে যাবে।
তবে সওয়াব কমে যাবে।
নামাযে অনর্থক নড়া-চড়া করা মাকরুহ।
যদি অল্প হয়।
আর যদি অনেক হয় তাহলেতো নামায ভঙ্গই হয়ে যাবে।
নামাযে মাথার মাটি মুছা মাকরুহ।
মাটি থেকে রক্ষা করার জন্যে কাপড় উঠানোও মাকরুহ।
কাঁধের উপর এমনভাবে কাপড় রাখাও মাকরুহ যা দুই পাশে ঝুলে থাকে।
জামা গায়ে দিয়ে বোতাম খোলা রাখাও মাকরুহ।
খালি মাথায় নামায পড়া মাকরুহ।
মাথার উপর চুলের খোপা পাকিয়ে নামাজ পড়া মাকরুহ।
বরং উচিত হলো, নামাযের সময় চুল খুলে রাখা-যাতে করে চুলও সিজদা করতে পারে।
মাথার সামনে থেকে মাটি কংকর সরানো মাকরুহ।
হ্যাঁ, যদি সিজদা করা না যায় তাহলে একবার বা দুইবার সরাতে পারবে।
নামাযে আঙ্গুল ফোটানো মাকরুহ।
নামাযে এদিক-সেদিক, ডানে-বামে আকাশের দিকে তাকানো মাকরুহ।
হাই তোলা, সিজদা করার সময় বাহু মাটিতে বিছিয়ে দেয়া বা পেট উরুর সাথে মিশিয়ে নেয়া মাকরুহ। পুরুষের জন্যে লাল হলুদ অথবা রেশমি কাপড় পরিধান করে, গেরুয়া রঙের পাগড়ী পড়ে কিংবা অহংকারী ভঙ্গিতে নামায পড়া মাকরুহ।
মানুষ কিংবা প্রাণীর ছবিযুক্ত কাপড় পরিধান করে নামায পড়া মাকরুহ।
নামাযীর সামনে দিয়ে যাওয়া অনেক বড় গোনাহ।
তাই নামাযীর জন্যে কর্তব্য হলো, এমন জায়গায় না দাঁড়ানো যে দিক দিয়ে মানুষ চলাফেরা করে।
অগত্যা পড়তেই হলে সামনে একটি কাঠি দাঁড় করিয়ে নামায পড়া।
যথাসম্ভব কাশি চেপে রাখবে।
অপারগতা আল্লাহ মাফ করবেন।
যদি খুব ক্ষুধা থাকে এবং খানাও তৈরি থাকে আর নামাযের পর্যন্ত সময়ও থাকে তাহলে এই অবস্থায় নামায পড়া মাকরুহ।
অনুরূপ প্রস্রাব-পায়খানার চাপসহ নামায পড়াও মাকরুহ।
মন বসে এমন অবস্থায় নামায পড়া উচিত।
যে নামায মাকরুহ হয়ে যায় সেটা পুনরায় পড়া উত্তম।
যাতে করে কিয়ামত দিবসে শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
না পড়লে মাথা থেকে ফরয আদায় হয়ে গেল।
তবে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেল।
যদি এত অসুস্থ হয়ে পড়ে যে, দাঁড়িয়ে নামায পড়তে পারছে না, তাহলে বসে বসেই পড়বে।
রুকু-সিজদা করবে।
যদি রুকু-সিজদা করাও সম্ভব না হয় তাহলে ইশারায় রুকু সিজদা করবে।
তবে রুকুর জন্যে মাথা হালকা ঝুঁকাবে আর সিজদার জন্যে একটু বেশী ঝুঁকাবে।
বসবার মত শক্তি না থাকলে শুয়ে শুয়েই ইশারায় নামায আদায় করবে।
চিত হয়ে শুয়ে কিবলার দিকে পা রেখে নামায পড়বে অথবা যেভাবে কবরে শোয়ানো হয় ঐভাবে শুয়ে কিবলামুখি হয়ে নামায আদায় করে নিবে।
যদি এত বেশী অসুস্থ হয় যে, মাথায় ইশারা করার ক্ষমতাও নেই তাহলে আল্লাহ পাক মাথা নাড়াবার ক্ষমতা দান করা পর্যন্ত নামায মওকুফ রাখবে।
মাথা উঠাবার শক্তি প্রাপ্ত হলে নামায শুরু করবে।
কোন কোন আলিম বলেছেনঃ যদি মাথা না উঠাতে পারে তাহলে মনে মনে নিয়্যত করে মনে মনেই নামায আদায় করে নিবে।
পলকের ইশারায় রুকু সিজদা করবে।
মোটকথা, নামায কোন অবস্থাতেই তরক করবে না। নামায বর্জন অনেক বড় অন্যায়।
এর জন্যে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি পেতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?