নামায ভঙ্গের কারণসমূহ

নামায ভঙ্গের কারণসমূহ
নামাযী ব্যক্তি নামাযের মধ্যে যদি সজ্ঞানে  কিংবা ভুলে কোন কথা বলে ওঠে, কিংবা কাউকে সালাম দেয় অথবা সালামের জবাব দেয় অথবা যদি খানা খায়, কিছু পান করে অথবা আওয়াজ করে, বা ব্যথা কিংবা কষ্টে উফ-আহ শব্দ করে কেঁদে উঠে, কিংবা  উথ্ উথ শব্দ করে বা কাশি দেয় অথবা হাঁচির জবাবে যদি ইয়ারহামুকাল্লাহু বা কেউ  কোন নেক বা খুশির সংবাদ বলল- উত্তরে সে সুবাহানাল্লাহ বা আলহামদুলিল্লাহ বলল অথবা কেউ কোন দুঃসংবাদ বলল, উত্তরে সে
লা হাওলা ওয়ালা কু'য়াতা ইল্লাবিল্লা অথবা ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন বলল অথবা নামাযে
এমনভাবে তিলাওয়াত করল যাতে করে আয়াতের অর্থই বিকৃত হয়ে যায়, অথবা স্বীয়  ইমাম ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি ভুল ধরিয়ে দিল, অথবা নামাযে কুরআন ভুলে গিয়ে স্বীয় মুকতাদী নয় এমন ব্যক্তির লোকমা গ্রহন করল, তাহলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।
নাপাকীর  উপর সিজদা করল; কিবলার দিক থেকে সীনা ফিরে গেল; বিনা কারণে নামাযের কোন ফরয ছেড়ে দিল; সিজদা করার সময় উভয় পা শূন্যে তুলে রাখল (তিন তাসবীহ পরিমাণ); সামনে গিয়ে দাঁড়াল এসব কারণে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে।
নামায পুনরায় পড়তে হবে।
নামাযের মধ্যে 'আমলে কাছীর' করলেও নামায বাতিল হয়ে যাবে।
যে কাজ সাধারণত দুই হাতে করা হয় সেটাই আমলে কাছীর।
নামাযী ব্যক্তি সেটা দুই হাতে করুক আর এক হাতে করুক নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।
যদি নিঃশব্দে নামাযের মধ্যে স্মিত  হাসে তাহলে নামায ওযু কোনটাই ভঙ্গ হবে না।
আর যদি এতটুকু আওয়াজ করে হাসে যা কেবল সেই শুনেছে অন্য কেউ শুনেনি তাহলে নামায ভেঙ্গে যাবে, তবে ওযু নষ্ট হবে না।
আর যদি খিলখিলিয়ে হাসে, অন্যরাও শুনতে পায় তাহলে ওযু নামায উভয়টাই নষ্ট হয়ে যাবে।
যদি নামাযের একই রুকন আদায় করা কালীন সময়ে তিনবার শরীর খুজলায় তাহলেও নামায নষ্ট হয়ে যাবে।


নামায ভঙ্গের কারণ 19 টি

১)  নামাযে অশুদ্ধ পড়া।

২)  নামাযের ভিতর কথা বলা।

৩)  কোন লোককে সালাম দেওয়া।

৪)  সালামের উত্তর দেওয়া।

৫)  উহ্! আহ্ শব্দ করা।

৬)  বিনা ওজরে কাশা ।

৭)  আমলে কাছীর করা।

৮)  বিপদে কি বেদনায় শব্দ করিয়া কাঁদা।

৯)  তিন তাসবীহ্ পরিমান ছতর খুলিয়া থাকা।

১০)  মুক্তাদী ব্যতীত অপর ব্যক্তির লোকমা নেওয়া।

১১)  সুসংবাদ ও দুঃসংবাদে উত্তর দেওয়া।

১২)  নাপাক জায়গায় সেজদা করা।

১৩)  কেবলার দিক হইতে সিনা ঘুরিয়া যাওয়া।

১৪)  নামাযে কোরআন শরীফ দেখিয়া পড়া।

১৫)  নামাযে শব্দ করিয়া হাসা।

১৬)  নামাযে সাংসারিক কোন বিষয় প্রার্থনা করা।

১৭)  হাঁচির উত্তর দেওয়া।

১৮)  নামাযে খাওয়া ও পান করা।

১৯)  ইমামের আগে মুক্তাদী দাঁড়ান।

নামাজে এই 19 টা কাজ করলে নামাজ ব্যাংগে যাবে নামাজে 19 টা কাজ করা যাবে না

পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.