নামাযের সুন্নত সমূহ
নামাজের সুন্নত সমূহ
নামাযের সুন্নাতে মুআক্কাদা বারটি।
রাফ-ই ইয়াদায়ন।
অর্থাৎ নামাযের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করা।
উভয় হাত বেঁধে নামায পড়া।
প্রথম রাকআতের শুরুতে ছানা পড়া।
প্রথম রাকআতে আউযুবিল্লািহ ও বিসমিল্লাহ পাঠ করা।
প্রত্যেক রাকআতে বিসমিল্লাহ পড়া।
উঠতে বসতে অর্থাৎ এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলা।
রুকুতে তিনবার পাঁচবার অথবা সাতবার সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম পাঠ করা।
রুকু থেকে উঠার সময় বলা -সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা রাব্বানা লাকাল হামদু।
সিজদায় তিনবার পাঁচবার বা সাতবার -সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা বলা।
আত-তাহিয়্যা'র পর এই দরুদ শরীফ পাঠ করা। দুরুদ শরীফের ফর এই দোয়া পাঠ করবে-
اللهم اني اعوذ بك من عذاب جهنم واعوذ بك من عذاب القبر واعوذ بك من فتنه المسيح الدجال واعوذ بك من فتنه المحيا والممات
اللهم اني اعوذ بك من المأ ثم والمغرم
যদি কারও এই দু'আ মুখস্থ না থাকে তাহলে সে কুরআন হাদীসের অন্য যে কোন দু'আ মুখস্থ করে পাঠ করবে।
সুরা ফাতেহা পাঠ করার পর আমীন বলা।
এই হলো নামাযের বারটি সুন্নতে মুআক্কাদা। এছাড়াও আরও কোন কোন বিষয়কে কিতাবে সুন্নত লেখা হয়েছে।
কোন কোনটিকে মুস্তাহাব।
যদি নামাযের মধ্যে এই সকল সুন্নতের ওপর আমল করা হয় তাহলে নামায পরিপূর্ণ হবে।
আর যদি এর কোনটি ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে নামায সহীহ হয়ে যাবে, তবে মাকরুহ হবে।
অর্থাৎ সওয়াব কমে যাবে।
সুন্নত এবং নফল নামায এই কারণে দেয়া হয়েছে যাতেে ফরয নামাযে কোনরুপ ক্রটি কিংবা ঘাটতি থাকলে তা যেন সুন্নত ও নফলের দ্বারা পূরণ হতে পারে।
এবং কিয়ামতের দিবসে এই ব্যক্তি নাজাত পেতে পারে।
তাই সকলেই ফরযগুলো আদায় করার চেষ্টা করা উচিত।
সব ব্যবসা-বাণিজ্য অপেক্ষা করে হলেও ফরয আদায় করবে।
যদি নামাযের সময় খুব কম থাকে অথবা অসুস্থতার কারণে নামায পড়াই কষ্টকর হয়ে পড়ে, অথবা সফরে কাফেলা চলে যাওয়ার আশংকা হয় তাহলে শুধু ফরয নামায পড়ে নিবে।
আর যদি সুযোগ থাকে তাহলে অন্যান্য নামাযও পড়ে নিবে।
কিয়ামতের দিন ফরয বর্জনের কারণে কঠিন শাস্তি হবে।
ওয়াজিব তরক করার কারণেও বড় আযাব হবে। তবে ফরযের চে কম।
আর সুন্নত তরক করার কারণে সে দিন সে ক্রোধের শিকার হবে।
তাকে ধমক দেয়া হবে।
তবে আযাব খুব কঠিন হবে না।
আর মুস্তাহাব ও নফল নামায বর্জন করার ফলে উচ্চ মর্যাদা লাভ থেকে বঞ্চিত হবে।
জামাতের সাথে নামায পড়া সুন্নতে মুআক্কাদা।
বরং কোন কোন আলিম এটাকে ওয়াজিবও বলেছেন।
তাই মুসলমানদের কর্তব্য হলো, সর্বদা জামাতের পাবন্দী করা।
জামাতের সাথে একটি নামায আদায় করলে সাতশটি নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়।
মহল্লার মসজিদে গিয়ে নামায পড়লে পঁচিশ নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়।
জুমুআর মসজিদে গিয়ে পড়লে পাঁচশ নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়।
বাইতুল মুকাদ্দাসে গিয়ে পড়লে এক হাজার নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদ-মসজিদে নববীতে গিয়ে পড়লে পঞ্চাশ
হাজার নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়।
আর কা'বা শরীফে গিয়ে পড়লে এক লক্ষ নামাযের সওয়াব পাওয়া যায়।
নামাযে সুন্নতে মুআক্কাদাহ্ ১২ টি
১) দুই হাত উঠান।
২) দুই হাত বাঁধা।
৩) সানা পড়া।
৪) আউযুবিল্লা পড়া।
৫) বিসমিল্লাহ পড়া।
৬) আলহামদুর পর আমীন বলা।
৭) প্রত্যেক উঠা - বসায় আল্লাহু আকবার বলা।
৮) রুকুর তাসবীহ্ বলা।
৯) রুকু হইতে উঠিবার সময় সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ্, রাব্বানালাকাল হামদু বলা।
১০) সেজদার তাসবীহ্ বলা।
১১) দরুদ শরীফ পড়া।
১২) দু'আয়ে মাসুরা পড়া।
উপরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা গুলো আদায় করার চেষ্টা করবে।
পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ

কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?