প্রতিদিন সকাল সন্ধার আমল


প্রতিদিন সকাল সন্ধার আমল

পরকালের অনেক বড় সম্পদ অর্জিত হবে।
এগুলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পরে পড়বে।
এগুলো পড়ার মধ্যে উভয় জাহানের কল্যাণ আছে তাই এখানে পত্রস্থ করলাম।
এসব ওযীফা কুরআন ও হাদীস থেকে সংগৃহীত।
তাই কারও জন্যেই এগুলোর সওয়াব থেকে বঞ্চিত থাকা উচিত নয়।
কেউ চাইলে আলিমগনের কাছ থেকে এগুলোর উপকার জেনে নিতে পারে।
এখানে সনদ উল্লেখ করারও অবকাশ নেই।

ফায়দাঃ যদি কেউ ফজর নামাযের পর নিম্নের দু'আটি সাতবার পাঠ করে এবং এই দিনেই মারা যায় তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।
আর যদি মাগরিবের পর সাতবার পাঠ করে আর ঐ রাতে মারা যায় তাহলে আল্লাহ পাক তাকে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।
ইবন হিব্বানের সূত্রে সহীহ হাদীসে বর্ণিত এই দু'আটি হলো- আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার

ফায়দাঃ প্রত্যেক নামাযের পর একবার আয়াতুল কুরসী, একবার করে চার কুল পাঠ করলে এক নামায থেকে অন্য নাময পর্যন্ত দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
যদি এর মধ্যে মারা যায় তাহলে জান্নাতী হবে।
এছাড়া এক নামায থেকে অন্য নামায পর্যন্ত এর আরও ফায়দা আছে, কোন আলিমের কাছ থেকে জেনে নেয়া উচিত।

ফায়দাঃ প্রতিদিন ফজর নামাযের পর একশতবার
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল মালিকুল হাক্কুল মুভিন
পাঠ করলে পরকালের আযাব থেকে মুক্তি পাবে, দুনিয়াতে রিযিকের প্রসন্নতা হাসিল হবে।
আর যোহর নামাযের পর পাঁচ শ'বার পড়বে- হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকিল।

    যদি সময় কম থাকে তাহলে 25 বার অবশ্যই পড়বে। আসর নামাযের পর তাসবীহে ফাতেমী পড়বে।
দুনিয়াবী এবং পরকালীন সমস্যা দূর করণ এবং প্রসন্নতা আনয়নে খুবই উপকারী।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় কন্যাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন 33 বার সুবহানাল্লাহ 33 বার আলহামদুলিল্লাহ এবং 34 বার আল্লাহু আকবার' পাঠ করবে।
আর মাগরিব নামাযের পর একশবার
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পাঠ করবে। হাদীস শরীফে আছে- এটা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর।
যে ব্যক্তি সারা জীবনে এই কালিমা সত্তুর  হাজার বার পাঠ করবে সে অবশ্যই জান্নাতী হবে।
আর যদি মা-বাবা বন্ধু প্রিয়জন আত্মীয় স্বজনের জন্যে একবারও সত্তুর হাজার বার পাঠ করে বখশে দেয় তাহলে সেই নিঃসন্দেহে বেহেশতী হবে।

     এশার নামাযের পর  একশবার দরুদ শরীফ পাঠ করবে।
দুরুদ শরীফ অনেক প্রকার আছে।
যেকোনো একটা গ্রহণ করবে।

১)  বিসমিল্লাহ  (১০০ বার) আছতাগফিরুল্লাহ (১০০বার) সুবহানাল্লাহ (১০০বার)  ( আবুদাউদ,হাসান)

২)  আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্নার (৭ বার) 
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আযাব হইতে রক্ষা করুন

৩)  আললাহুমমা আপনি জান্নাহ ( ৩ বার)   ( ইবনে মাজাহ)


তাসবীহে ফাতেমী প্রত্যেক ফরয নামাযের পর


৪) সুবহানাল্লাহ ( ৩৩ বার ) আলহামদুলিল্লাহ্‌  (৩৩বার) 
আল্লাহু আকবার (৩৪ বার)
ফযীলতঃ যে ব্যক্তি উক্ত আমল করিবে তাহার সমুদয় গুনাহ মাফ হইয়া যাইবে যদিও তাহা সমুদ্রের ফেনা বরাবর হয়  ( মুসলিম  শরীফ)


৭০ টি বিপদ থেকে  নাজাত পাওয়ার দোয়া

৫)  উচ্চারণঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি লা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি

ফযীলতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি এই কালিমাটি প্রতিদিন সাতবার পাঠ করিবে আল্লাহ পাক তার সত্তরটি অসুবিধা দূর করিয়া দিবেন।

কোন মন্তব্য নেই

আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.