রোযার বিবরণ


                               রোযার বিবরণ

রমযান শরীফের রোযা হলো ইসলামের চতুর্থ রুকন। যদি কেউ এই রোযাকে ফরয মনে না করে তাহলে সে কাফির।
আর ফরয হওয়ার পরও যে ব্যক্তি রোযা রাখে না সে অনেক বড় পাপী।
রোযার মধ্যে নিয়্যত করা ফরয।
নিয়্যত ছাড়া রোযা শুদ্ধ হয় না।
তাই প্রতি রাতেই নিয়্যত করবে।
সারা রাতই নিয়্যতের সময়।
সকল আলিমের মতেই রোযার নিয়্যত করতে হয় ফজর নামাযের পূর্বে।
কিন্তু ইমাম আযম (রহ,)- এর মতে যদি কোন ব্যক্তি রাতের বেলা রোযার নিয়্যত না করে থাকে তাহলে দিনের বেলা দুপুরের পূর্বে নিয়্যত করে নিবে।
যদি কিছু না খেয়ে এবং না পান করে থাকে।
আর দুপুরের পরে নিয়্যত করলে কারও মতেই রোযা সহীহ হবে না।

     যদি কোন ব্যক্তি স্বচক্ষে রমযান শরীফের চাঁদ দেখে থাকে আর কাযী- মুসলিম বিচারক তার কথা গ্রহণ না করে থাকেন এবং শহরবাসীকে রোযার আদেশ নাও দিয়ে থাকেন তবুও চাঁদ প্রত্যক্ষকারীর ওপর রোযা
 রাখা ওয়াজিব।
আর যদি স্বচক্ষে ঈদের চাঁদ দেখে থাকে আর কাযী তার কথার ঈদ না করে তাহলে সে ব্যক্তির জন্যেও রোযা ভঙ্গ করা জায়েয হবে না।
বরং সমস্ত অসুস্থতায় কেটেছে।
অতঃপর পাঁচদিন বাড়িতে বা সুস্থতায় কাটার পর মারা গেল।
এখন তার ওপর পাঁচদিনের কাযা ওয়াজিব।
যদি করতে না পারে তাহলে ওয়ারিশদের ওপর ওয়াজিব হলো, প্রতিটি রোযার বিনিময়ে দুই সের গম বা চার সের জব ফকীর- মিসকীনকে দিয়ে দেয়া।
তবে এটা ওয়ারিশের কর্তব্য বলে তখনই বিবেচিত হবে যদি মৃত ব্যক্তি ওসিয়ত করে মারা যায়।
ওসিয়ত না করে গেলে ওয়াজিব হবে না।
তবে যদি ওসিয়ত ছাড়াই দিয়ে দেয় তাহলেও
সহীহ হবে।
রমযানের কাযা একসাথেও করা যায়, ভেঙ্গে ভেঙ্গেও করা যায়।
কিন্তু কাফফারা একসাথেই আদায় করা ওয়াজিব।
যদি কোন ব্যক্তি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোযা রাখার শক্তি না থাকে তাহলে সে রোযা রাখবে না।
বরং প্রতিটি রোযার বিনিময়ে সাদকায়ে ফিতর পরিমাণ গম বা জব ফকীরকে দান করে দিবে।
তারপর যদি পুনরায় রোযা রাখার শক্তি ফিরে পায় তাহলে ঐ রোযাগুলো কাযা করে নেবে।

       যদি কোন মহিলা গর্ভবতী হয় বাচ্চাকে দুধ পান করায় এবং রোযা রাখলে বাচ্চার কষ্ট হয় তাহলে রোযা রাখবে না।
তবে এসব রোযার কাযা করা ওয়াজিব।
ঋতুবর্তী কিংবা নিফাসবতী নারীগণ পাক হবার পর রোযার কাযা করে নিবে।
যদি কোন ব্যক্তি ঈদুল আযহার আরাফার দিন রোযা রাখে তাহলে তার গত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
আশুরার দিনে রোযা রাখলে এক বছরের গোনাহ মাফ হয়ে যায়।
যেভাবে আল্লাহ ছাড়া আর কারো উদ্দেশে নামায পড়া জায়েয নেই, তেমনি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও উদ্দেশে রোযা রাখাও জায়েয নেই।
RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.