নামাজের পঠিত কয়েকটি সূরা বাংলা
নামাজ আদায়ের জন্য্য কেরাত পাট করা ফরজ নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহের মধ্যে প্রথম কারণ হলো অশুদ্ধ্ কিরাত পড়া নামাজের সূরা ফাতিহার পর কমপক্ষে বড়় একটি আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াত
বা এর সমপরিমাণ সূরা পাঠ করতে হয় চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নত নামাজের চার রাকাতে সূরা মিলাতে হয় তাই কমপক্ষে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরি হলো 5 টি সূরা বিশুদ্ধভাবে শিক্ষা করা।
সূরা ফাতিহা
বাংলা উচ্ছারণঃ
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াওমিদ্দিন। ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন। ইহদিনাছ ছিরাত্বাল মুসতাক্বীম। ছিরাত্বাল্লাযিনা আনআমতা আলাইহিম ।গইরিল মাহদ্বুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্বা-ল্লী-ন।
(আমিন)
অর্থঃ আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি অভিশপ্ত শয়তান হইতে।
পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি
১) সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত জগৎ সমূহের সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা, পালনকর্তা।
২) যিনি দয়াময়, যিনে অত্যন্ত দয়ালু, যিনে বড় মেহেরবান।
৩) যিনি কর্মফলের নির্ধারিত দিনের একচ্ছত্র মালিক, একচ্ছত্র অধিপতি।
৪) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করিতেছি এবং একমাত্র তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি।
৫) দেখাও আমাদেরকে সঠিক সংক্ষেপ সুদৃঢ় পথ।
৬) তাঁদের পথে (যাদেরকে) তুমি নেয়ামত দান করিয়াছ। যাঁরা তোমার অনুগ্রহের পাত্র হইয়াছেন।
৭) যাঁহারা তোমার ক্রোধানলে পতিত হইয়াছে যা বিপদগামী হইয়াছে, তাহাদের পথে আমাদেরকে যাইতে দিও না।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের এই প্রার্থনা কবূল কর।
সুরা ফীল
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
বাংলা উচ্ছারণঃ আলাম তারা কাইফা ফা'আলা রাব্বুকা বিআসহাবিল ফী-ল। আলম ইয়াজ'আল কাইদাহুম ফ্রী তাদ্বলীলওঁ। ওয়া আরছালা 'আলাইহিম ত্বাইরান আবাবীল। তারমিহিম বিহিজারাতিম মিন্ ছিজ্জীলিন। ফাজা'আলাহুম কা'আছফিম্ মা'কূল।
অর্থঃ
(পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি )
১) তুমি কি দেখো নাই তোমার প্রভু হাতিওয়ালাদের সহিত কিরূপ কঠোর ব্যবহার করিয়াছেন?
২) তিনি কি তাহাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করিয়া দেন নাই?
৩) এবং তিনি তাহাদের বিরুদ্ধে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পাঠান।
৪) পাখির দল তাহাদের উপর প্রস্তর কংকর নিক্ষেপ করতে থাকে।
৫) অতপর তিনি তাহাদিগকে চর্বিত তৃণ ভূসির ন্যায় করিয়াছেন।
সূরা কুরাইশ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা উচ্চারণঃলিঈলাফি কুরাইশিন।ঈলাফিহিম রি্হলাতাশ্ শিতাই ওয়াছ্ছাইফি। ফালইয়া'বুদূ রাব্বাহাযাল বাইত। আল্লাযী আত্ব'আমাহুম মিন জু'ইওঁ ওয়া আমানাহুম মিন খাওফ।
অর্থঃ
(পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) যেহেতু কোরাইশদের( আল্লাহ তাআলা) কর্তৃক আগ্রহ আছে।
২) আগ্রহ আছে তাহাদের শীত ও গ্রীস্মের বাণিজ্য যাত্রার।
৩) সুতারাং একান্ত কর্তব্য যে, তাহারা ইবাদত করুক এই কাবা ঘরের মালিকের।
৪) যিনি এই ঘরের উসিলায় তাহাদিগকে ক্ষুধায় আহার দান করিয়াছেন এবং ভয়-ভীতি হইতে নিরাপদ করিয়াছেন।
সুরা মা'উন
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।)
বাংলা উচ্ছারণঃ আরায়াইতাল্লাজি ইউকাযযিবু বিদ্দীন, ফাযালিকাল্লাযী ইয়াদু'য়্যুল ইয়াতীম।
ওয়ালা ইয়াহুদ্দু আলা ত্বো'য়ামিল মিসকীন, ফাওয়াইলুল্লিল মুছাল্লীন।
আল্লাযীনা হুম্ আনছলাতিহিম্ সাহুন।
আল্লাযীনা হুম্ ইউরা-উনা ওয়া ইয়াম্ না 'য়ুনাল মা'উন।
অর্থঃ
( পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) তুমি কি দেখিয়াছ তাকে, যে ধর্ম -ধর্মফলকে অস্বীকার করে?
২) তবে সে ঐ ব্যক্তি, যে ইয়াতীমকে ধাক্কা দিয়া তাড়াইয়া দেয়।
৩) এবং গরীব মিসকিনদের খোরাকের জন্য উৎসাহ প্রদান করে না।
৪) ভীষণ সর্বনাশ সেই সব নামাজিদের জন্য।
৫) যাহারা নিজেদের নামাজ থেকে উদাসীন।
৬) যাহারা তা নামায লোক দেখানোর জন্য করে।
৭) এবং (যাকাত বা কাজকর্মে) সামান্য জিনিস দানে বিরত থাকে।
সুরা কাওসার বাংলা উচ্চারণঃ
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
ইন্না আ'তাইনা কালকাওছার ফাছাল্লি লি রাব্বিকা ওয়ানহার ইন্না শা-নিয়াকা হুয়াল আবতার।
অর্থঃ
(পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওসার দান করিয়াছি।
২) অতএব আপনার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
৩) নিশ্চয়ই আপনার শত্রুই নির্বংশ।
সুরা কাফিরুন
বাংলা উচ্ছারণঃ
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।)
কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন, লা -আ'বুদু মা তা'বুদূন। ওয়ালা আংতুম 'আবিদুনা মা'আবুদ। ওয়া লা আনা আ'বিদুম্ মা-আ'বাত্তুম। ওয়া লা-আনতুম 'আবিদূনা মা-আ'বুদ। লাকুম্ দীনুকুম অলিয়া দ্বীন।
অর্থঃ
( পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) আপনি বলুন হে কাফেরগণ!
২) আমি তাহার ইবাদত করি না, যাহার এবাদত তোমরা কর।
৩) এবং তোমরাও তাঁহার এবাদতকারী নও, যাঁহার এবাদত আমি করি।
৪) এবং ভবিষ্যতেও আমি তাঁহার এবাদতকারী নহি, যাহার এবাদত তোমরা করিয়া থাক।
৫) এবং তোমরাও তাঁহার এবাদতকারী নও, যাঁহার এবাদত আমি করি।
৬) তোমাদের ধর্ম ও কর্মফল তোমাদের ,আমার ধর্ম ও কর্মফল আমার।
সূরা নাছর
বাংলা উচ্ছারণ ঃ
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
ইযা -জা-আ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু, ওয়ারা আইতান্নাসা ইয়াদখুলূনা ফীদীনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ্ বিহামদি রব্বিকা ওয়াস তাগফিরহু। ইন্নাহু কানা তাউয়্যাবা।
অর্থঃ
( পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) যখন আল্লাহর সাহায্য ও জয়লাভ আসিবে।
২) এবং আপনি লোকদিগকে আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে দলে দলে প্রবেশ করিতে দেখিবে।
৩) তখন আপনি আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে তাঁহার পবিত্রতা ঘোষণা করিবেন এবং তাঁহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিবেন। নিশ্চয় তিনি তওবা কবুলকারী ক্ষমাশীল।
সূরা লাহাব
বাংলা উচ্চারণঃ
( বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।)
তাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাবিও ওয়াতাব্বা-মা-আগনা আনহু মা-লুহূ ওমা কাসাব। সাইয়াছলা নারান
যা-তা লাহাবিও ওমরাআতুহু হাম্মালাতাল হাতাব।
ফী-জ্বীদিহা হাবলুম মিম মাসাদ।
অর্থঃ
(পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে (নিজেও।)
২) তাহার কোন কাজে আসে নাই তাহার পৈত্রিক সম্পত্তি এবং সেই যা অর্জন করিয়াছে।
৩) অতি শীঘ্রই সে পতিত হইবে লেলিহান আগুনের মধ্যে।
৪) এবং তার স্ত্রী ও যে ইন্ধুন বহন করে ।
৫) তাহার গলদেশে খর্জুরের পাখানো (খসখসে) শক্ত রশি।
সূরা ইখলাছ
বাংলা উচ্ছারণঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কুলহু আল্লাহু আহাদ । আল্লাহুছ ছামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থঃ
(পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) তুমি বল, তিনি আল্লাহ (তিনি) এক।
২) তিনি আয়েব শূন্য, অভাব শূন্য।
৩) তিনি কাহাকেও জন্ম দেন নাই এবং তাঁহাকেও জন্ম দেওয়া হয় নাই।
৪) এবং তাঁহার সমতুল্য কিহই নাই।
সূরা ফালাক
বাংলা উচ্ছারণঃ
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।)
কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়ামিন শাররি গাসিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়ামিন শাররিন নাফ্ফাছাতি ফিল উক্বাদ। ওয়ামিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।
অর্থঃ
(পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) তুমি বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি প্রভাতের পালনকর্তার নিকট।
২) তাঁহার যাবতীয় সৃষ্টি বস্তুর অনিষ্ট হইতে।
৩) এবং যাবতীয় অন্ধকারের অনিষ্ট হইতে যখন তাহা আসে।
৪) এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে।
সূরা নাস
বাংলা উচ্ছারণঃ
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।)
কুল আউযু বিরাব্বিন্নাস। মালিকিন নাস। ইলাহিন নাস। মিন শাররিল ওয়াসওয়াসিল খান্নাস। আল্লাযী ইউওয়াস ওয়িসু ফী সুদূরিন্নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাস।
অর্থঃ
(পরম দয়ালু দয়াময় আল্লাহর নামে শুরু করিতেছি।)
১) তুমি বল আমি আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি সমস্ত মানুষের প্রভুর নিকট।
২) সমস্ত মানুষের বাদশাহর নিকট।
৩) সমস্ত মানুষের মা'বুদের নিকট।
৪) অস্অসা ( খারাপ খেয়াল) আনয়নকারী খান্নাসের
( পলায়নকারীর) অনিস্ট হইতে।
৫) যে মানুষের অন্তরের মধ্যে অস্অসা (কু-ভাব ও কু-চিন্তা) আনয়ন করে।
৬) ( অস্অসা আনয়নকারী) জ্বীন-জাতি হউক আর মানুষ-জাতি হউক।

কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?