ইসলামের মৌলিক আকিদা বাকি অংশটুকু
ইসলামের মৌলিক আকিদা বাকি অংশটুকু
সেখানে 10 বছর অবস্থান করেন।
তারপর 63 বছর বয়সে ওফাত লাভ করেন এবং সেখানেই তাঁর কবর শরীফ নির্মিত হয়।
হযরতের বংশপরস্পরা হলো- মহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিম ইবন আবদে মানাফ। বিশ্বাস রাখতে হবে এই কথার ওপর- মৃত্যুর পর
মৃতব্যক্তির কাছে দু'জন ফিরিশতা 'মুনকার- নাকীর' আসবেন।
তারা এসে প্রশ্ন করবেন- তোমার রব কে? তোমার ধর্ম কী? তোমাদের কাছে যিনি এসেছিলেন তিনি কে? (এই কথা বলে হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আকৃতি দেখিয়ে তাঁর দিকে ইশারা করবে।)
মৃত ব্যক্তি যদি ঈমানদার হয় তাহলে সে এর উত্তরে বলবে, আমার রব আল্লাহ।
আমার ধর্ম ইসলাম।
আর ইনি হচ্ছেন আল্লাহ'র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তিনি আমাদের কাছে আল্লাহর বিধান নিয়ে আগমন করেছিলেন।
তারপর এই মৃতের প্রতি আল্লাহর রহমত নাযিল হয়। বেহেশতের দিকে তার কবরের একটি দরোজা খুলে দেয়া হয়।
আর মৃত যদি বেঈমান হয় তাহলে সে
মুনকার -নাকিরের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না।
প্রতি প্রশ্নের উত্তরে সে কেবল বলেঃ আমি জানি না। অতঃপর তার প্রতি কঠিন আযাব শুরু হয়; তার কবরের একটি দরোজা দোযখের দিকে খুলে দেয়া হয়।
এবং এই মর্মে ঈমান আনতে হবে, কিয়ামত অবশ্যই হবে এবং সেদিন হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম শিংগায় ফুক দিবেন।
আকাশ ফেটে পড়বে।
তারারা টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে যাবে।
পাহাড়গুলো তুলার মত উড়তে থাকবে।
তারপর আকাশ-পৃথিবী এবং সমগ্র জগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে।
তারপর যখন দ্বিতীয়বার শিংগায় ফুঁক দিবেন তখন সব কিছু পুনরায় অস্তিত্ব লাভ করবে।
মৃতরা কবর থেকে বেরিয়ে আসবে।
আমলের পাল্লা স্থাপন করা হবে।
সকলের হাতেই আমলনামা প্রদত্ত হবে এবং হিসাব নেয়া হবে।
হাত-পা সাক্ষী দেবে, ভাল কাজ করেছিল না মন্দ কাজ।
দোযখের পিঠের উপর 'পুলসিরাত' প্রতিষ্ঠিত হবে। চুলের চাইতে সূক্ষ্ম এবং তরবারীর চাইতেও অধিক ধার হবে পুলসিরাত।
এর উপর দিয়ে পার হবার আদেশ দেয়া হবে।
নেককার সৎ বান্দারা বিদ্যুৎ কিংবা বাতাস অথবা দ্রুতগামী ঘোড়ার মত পুলসিরাত পার হয়ে যাবে।
আবার কেউ কেউ পার হবে পায়ে হেঁটে চলার মতো ধীরে।
কেউ কেউ আবার খন্ডিত হয়ে দোযখে পড়ে যাবে।
আরও বিশ্বাস রাখতে হবে, আল্লাহ তা'আলা হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে 'হাওযে কাওসার' দান করবেন।
এর পানি হবে মধুর চাইতেও মিষ্টি এবং দুধের চাইতেও সাদা।
এর পানপাত্র হবে আকাশের নক্ষত্রের মতো বিপুল। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত পয়গাম্বর, আউলিয়ায়ে কিরাম এবং আল্লাহর নেক বান্দাগণ কিয়ামতের দিন গোনাহ্গারদের জন্যে সুপারিশ করবেন।
এবং ঈমান রাখবে এই মর্মে যে, মুসলমানগন বেহেশতে অনেক বড় বড় নেয়ামত লাভ করবে।
খাবার ফল; পান করার শরবত; সেবা -যত্নের জন্যে
হুর-গিলমান; বসবাসের জন্যে অতিউন্নত ঘর-মহল। তবে বেহেশতের মধ্যে সবচে বড় নেয়ামত হলো আল্লাহর দীদার।
তিনি দয়া করে মুসলমানদেরকে এসব নেয়ামত দান করবেন।
পক্ষান্তরে কাফির সম্প্রদায় দোযখের মধ্যে কঠিন কঠিন আযব ভোগ করবে।
আগুন, সাপ, বিচ্ছু, গরমপানি, বেড়ি, শেকল, কাঁটা, দুর্গন্ধময় স্থান ছাড়াও আরও নানা রকমের শাস্তি থাকবে সেখানে।
আল্লাহ তা'আলা মুসলমানগণকে দুনিয়া থেকে ঈমানের সাথে তুলে নিবেন এবং শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন।
আরও বিশ্বাস রাখতে হবে, কুরআন-হাদীসে বেহেশত- দোযখের অবস্থা ও আগ-পর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যেসব বর্ণনা আছে সবই সত্য।
শরীয়ত মুতাবিক সকল কথাই সত্য।
কুরআন-হাদীস পরিপন্থী সবই বাতিল এবং মন্দ।
সকল মুসলমানের কর্তব্য হলো, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে নবীজীর পরিবার, পবিত্রতমা বিবিগন এবং তাঁর প্রিয় সাহাবীদের প্রতি আন্তরিক মহব্বত বিশ্বাস ও ভালোবাসা পোষণ করা; সমস্ত উম্মতের মধ্যে তাঁদেরকে সর্বাধিক মর্যাদাবান ও সম্মানিত মনে করা; তাঁদেরকে সম্মান করা; তাঁদের যে কারও নাম শোনামাত্রই
'রাদিয়াল্লাহ আনহু' বলা।
কেননা কুরআন শরীফে তাঁদের খুব প্রশংসা করা হয়েছে।
হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁদের অনেক গুণের কথা আলোচনা করেছেন।
তাঁদেরকে যাঁরা ভালোবাসবে তাঁরা বেহেশতী, আর তাঁদের সাথে যারা শত্রুতা রাখবে তারা জাহান্নামী। তাঁদের মধ্যেও হযরত আবু বক্কর রাদিয়াল্লাহ আনহু, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহ আনহু, হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহ আনহু ও হযরত আলী রাদিয়াল্লাহ আনহু কে শ্রেষ্ঠ বলে বিশ্বাস করতে হবে এবং সম্মান করতে হবে।
* رَضِیَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنْهُمْ ٱجْمَعِيْنَ
উপরে যেসব আকীদা ও বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে এগুলোর প্রতি পূর্ণ ঈমান ও আস্থা রেখে সত্য মনে করে পাক্কা মুসলমান হতে হবে।
তারপর ওযু ও নামাযের মাসাইল শিখবে।
নামাযকে সমস্ত ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বোত্তম ও আল্লাহর দেয়া ফরয মনে করে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামায়াতের সাথে আদায় করবে।
আলসেমী করে নামায ছাড়বে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি যথাযথ নামায আদায় করবে, নামায তার জন্যে কিয়ামতের দিন আলো, তার স্বপক্ষে দলীল এবং তার মুক্তির কারন হবে।
আর যে ব্যক্তি ঠিকমত নামায আদায় করবে না তার জন্যে কোন আলোও হবে না, দলীলও হবে না এবং মুক্তির উপায়ও হবে না।
এবং তার হাশর হবে কারুণ ফিরাউন হামান এবং উবাই ইবন খালফের সাথে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে সাত বছর বয়স হতেই নামায পড়তে বল! আর তাদের বয়স দশ বছর হলে মার-ধর করে হলেও নামায পড়াও।
পোস্টটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য জিমেইল দিয়ে সাবমিট করে দিন আপনাদের কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন।

Nice
উত্তরমুছুন