ওযু ভঙ্গের কারণসমূহ
পায়খানা-প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কোন নাপাকী বের হলে ওযু ভেঙ্গে যায়।
রক্ত কিংবা পূঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে ওযু ভেঙ্গে যায়।
চিত হয়ে কিংবা পিঠ বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে ওযু ভেঙ্গে যায়।
কিন্তু নামাযের ভঙ্গিতে যেমন দাঁড়িয়ে, রুকুতে, সিজদায় কিংবা বসে নিদ্রা গেলে ওযু ভাঙ্গে না- যদি শরীর ঢিলে হয়ে না পড়ে।
যদি নেশা পান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, অথবা অসুস্থতার কারণে বেহুঁশ হয়ে পড়ে কিংবা পাগল হয়ে যায় তাহলে ওযু ভেঙ্গে যাবে।
নিচে সহজ করে দেওয়া হয়েচে
অজু ভঙ্গের কারণ ৭ টি
১) পায়খানা-পেশাবের রাস্তা দিয়া কোন কিছু বাহির হওয়া।
২) মুখ ভরিয়া বমি হওয়া।
৩) শরীরের কোন জায়গা হইতে রক্ত, পু্ঁজ, পানি বাহির হইয়া গড়াইয়া পড়া।
৪) থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশী হওয়া।
৫) চিত বা কাত হইয়া হেলান দিয়া ঘুম যাওয়া।
৬) পাগল, মাতাল ও অচেতন হইলে।
৭) নামাযে উচ্চস্বরে হাসিলে।
সবাই মাসআলাগুলো আমল করার চেষ্টা করবেন এবং ইসলামিক কোন বিষয় জানার প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানাবেন
ইস্তেঞ্জার আদব
অর্থাৎ পায়খানা পেশাব করার সময় এই কাজগুলো করা নিষেধ অর্থাৎ করতে পারবেন না এই কাজগুলো করার অভ্যাস থাকলে দূর করে ফেলুন আর করবেন না এই কাজ গুলো।
১) কেবলা মুখি বা ক্যাবলা পিছন দিয়া বসা।
২) রাস্তার উপর কিংবা কিনারায় পেশাব পায়খানা করা।
৩) কোন গর্তের ভিতর পেশাব পায়খানা করা বা চন্দ্র সূর্য বরাবরে বসা।
৪) পায়খানায় বসিয়া কথাবার্তা বলা এবং উপরের দিকে দেখা লজ্জা স্থানের দিকে দেখিয়া থাকা।
৫) হাড় বা কয়লা দিয়া ঢিলা লওয়া।
৬) দাঁড়াইয়া বা হাঁটিয়া হাঁটিয়া পেশাব করা।
৭) বিনা ওজরে পানিতে পেশাব করা।
৮) ফলদার বা ছায়া দার গাছের নিচে পায়খানা পেশাব করা।
৯) গোসল খানায় পায়খানা পেশাব করা।
১০)( পাইখানায় প্রবেশের পূর্বে দোয়া পাঠ করিয়া বাম পা দিয়া প্রবেশ করিবে এবং বাহির হইবার সময় ডান পা বাহিরে দিয়া দোয়া পাঠ করিয়া বাহির হইবে।)
এই আদব গুলো সবাই আমল করার চেষ্টা করবেন এবং যারা যারা দাঁড়াইয়া বা রাস্তার কিনারায় পেশাব করেন এই বদ অভ্যাস দূর করিয়া দিবেন এবং পেশাব পায়খানা করে টিস্যু ব্যবহার করবেন অবশ্যই টিস্যু ব্যবহার করবে বাসায় টিস্যু রাখবেন সবাইকে বলবেন ব্যবহার করার জন্য ইনশাআল্লাহ আমরা এগুলোর আমল করবো।


কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?