নামাযের সময় ও রাকাত
![]() |
আমরা মুসলিম আমাদের নামাযের সময় জানা দরকার আমরা অনেকে মসজিদে যেতে পারি না কিন্তু নিজে বাসায় নামায আদায় করে নি কিন্তু অনেকে সময়ের মধ্যে ভুল করে কোন সময় নামায পড়বে তা জানে না কিন্তু আমরা মুসলিম হিসেবে নামাযের সময় টা জানা দরকার প্লিজ পুরোটা পোস্ট পড়ুন নামাযের সময় সবারই জানা দরকার এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন
দিবা-রাএে ৫ ওয়াক্ত নামায ফরয। যথাঃ ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও ইশা।
ফজরের নামাযের সময়ঃ সূবহে সাদিক হইতে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত। সূর্যোদয়ের পূর্বে, পূর্ব আকাশের কিনারায় উত্তর দক্ষিণে যতক্ষন পর্যন্ত বিস্তৃত সাদা রেখা দেখা যায়, ঐ সময়কে সূবহে সাদিক বলে।
যোহরের নামাযের সময় ঃ দ্বিপ্রহরের সূর্য পশ্চিমে ঢলিয়া পড়ার পর হইতে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া আসল ছায়া বাদ দিয়া উহার দিগুণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জোহরের নামাযের সময়। কিন্ত ১ গুণের মধ্যে পড়া উক্তম। শুক্রবার দিন যোহরের নামাযের পরিবর্তে জামাতের সহিত দুই রাকাত ফরয নামায মসজিদে পড়াকে জুমা'র নামায বলে।
আসরের নামাযের সময়ঃ যোহরের নামাযের সময় শেষ হওয়ার পর সূর্য অস্ত যাওয়ার ২০ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত আসরের নামাযের সময় তারপর মাকরুহ্ ওয়াক্ত আসিয়া যায়।
মাগরিবের নামাযের সময় ঃ সূর্য সম্পূর্ণভাবে অস্ত যাওয়ার পর হইতে পশ্চিম আকাশে লাল থাকা পর্যন্ত মাগরিবের নামাযের সময়। তবে, সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে পড়িয়া লওয়া উত্তম।
ইশার নামাযের সময় ঃ মাগরিবের নামাযের দেড় ঘন্টা পর হইতে সূবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত এক তৃতীয়ংশের ভিতরে আদায় করা মুস্তাহাব। তবে, অর্ধেক রাত্র পর্যন্ত জায়েয। তারপর মাকরুহ্।
বিতরের নামাযের সময়ঃ ইশার ফরয আদায়ের পরক্ষণেই বিতরের নামাযের সময়। কিন্ত ইশার নামায আদায় ব্যতিরেকে বিতরের নামায হইবে না।
নামাযের রাকাতঃ
ফজরঃ প্রথমে সুন্নত ২ রাকাত, ফরয ২ রাকাত, মোট ৪ রাকাত।
যোহরঃ প্রথমে সুন্নত ৪রাকাত, ফরয ৪ রাকাত, পরে সুন্নত ২ রাকাত এবং নফল ২ রাকাত , মোট ১২ রাকাত।
আসরঃ প্রথমে নফল ৪ রাকাত, ফরয ৪ রাকাত, মোট ৮ রাকাত।
মাগরিবঃ ফরয ৩ রাকাত, সুন্নত ২ রাকাত, নফল ৬ রাকাত, মোট ১১ রাকাত।
ইশাঃ প্রথমে নফল ৪ রাকাত, ফরয ৪ রাকাত, পরে সুন্নত ২ রাকাত, নফল ২ রাকাত, মোট ১২ রাকাত।
( ফাতাওয়া আলমগীরী ১ ঃ ১১২)
বিতেরঃ তিন রাকাত ওয়াজিব, পরে ২ রাকাত নফল পড়া উত্তম।
প্রকাশ থাকে যে বিতেরের নামাযের তৃতীয় রাকাতে রুকুর আগে কেরাত পড়ার পর তাকবীর বলিয়া হাত বাঁধা অবস্থায় দু'আয়ে কুনূত পড়া ওয়াজিব।
( ফাতওয়া আলমগীরী ১: ১১০)
জুমু'আ ঃ প্রথমে সুন্নত ৪ রাকাত, ফরয ২ রাকাত পরে সুন্নত ৪ রাকাত এবং নফল ২ রাকাত, মোট ১২ রাকাত।
( ফাতওয়া আলমগীরী ১ ঃ ১৪৪)
তারাবীহ ঃ ইহা শুধু রমযান মাসে এশার নামাযের পরে বিতেরের পূর্বে আদায় করিতে হয়। ইহা সুন্নতে মুআক্কাদাহ্, মোট ২০ রাকাত। ২ রাকাত ২ রাকাত করে ৪ রাকাত পড়ার পর কিছু সময় আরাম করা মুস্তাহাব।
( ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ১ ঃ ১১৫)
পুস্টা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
কোন কিছু জানার প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানাবেন

কোন মন্তব্য নেই
আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?