রমজানের রোযা

                 
রমাজানের রোযা
আল্লাহুম্মা 

قَالَ اللّٰهُ تَعَا لٰی يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَی الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ۔ البقرة١٨٣

আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিন সকল! তোমাদের উপর রমাজান মাসের রোযা ফরয করা হইয়াছে।যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরয করা হইয়াছিল, যাহাতে তোমরা মুত্তাকী হইতে পার।


 عَنْ اَبِیْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلّٰی اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ عَمَلِ اِبْنِ اٰدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ اَمْثَالِهَا اِلٰی سَبْعِمِاءَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللّٰهُ تَعَالٰی اِلَّا الصَّوْمَ فَاِنَّهٗ لِیْ وَاَنَا اَجْزِیْ بِهٖ ـ
مشكوةص١٧٣

অর্থঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী আদমের সকল আমলের প্রতিদান  দশগুণ হইতে সাতশতগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, রোযা আমার জন্যই এবং আমি তার প্রতিদান দিব।

          ইসলামের মূল  পাঁচটি ভিত্তি হইতে একটিঃ রমাজান মাসে রোযা রাখা আল্লাহ পাক মুমিনদের ওপর ফরয করিয়াছেন।
রোযাকে আরবী ভাষায় সওম বলা হয়।
সওম শব্দের আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা।
শরীয়তের পরিভাষায় সওম বলা হয় সুবহে সাদিক হইতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত ইবাদতের নিয়তে পানাহার ও গুনাহ হইতে বিরত থাকাকে।

                      রোযার নিয়মঃ
রমাজান মাসের রোযার জন্য রাত্রে এই নিয়্যত করিলে যথেষ্ট হইবে।
আমি আগামীকাল রোযা রাখিব, অথবা দিনের 11 টার পূর্বে এই নিয্যত করিবে আমি আজকে রোযা রাখিলাম।

               যে সকল কারণে রোযা ভঙ্গ হয়ঃ ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার বা স্ত্রী সহবাস করিলে, নাকে কানে তেল বা ঔষধ প্রবেশ করাইলে।
নৈশ্য গ্রহণ করিলে।
স্বেচ্ছায় মুখ ভরিয়া বমি করিলে।
সামান্যতম বমি হইলে তাহা গিলিয়া ফেলিলে।
কুলি করার সময় পানি গলায় ঢুকিয়া পড়িলে।
অবশ্য রোযার কথা স্মরণ না থাকিলে রোযা নষ্ট
হইবে না।
ছোলা বা তাহার থেকে বড় ধরনের খাদ্য গিলিয়া ফেলিলে।
মুখে পান রাখিয়া ঘুমাইয়া সুবহে সাদিকের পর জাগ্রত হইলে।
ধুমপান করিলে।
ইচ্ছাকৃতভাবে লোবান অথবা অন্য কোন সুগন্ধি দ্রব্যের ধোঁয়া গলধকরণ করিলে অথবা নাকে টানিয়া লইলে। রাত্র মনে করিয়া সুবহে সাদিকের পর সাহরী খাইলে। সূর্য অস্তের পূর্বে সূর্য অস্ত গিয়াছে  মনে করিয়া ইফতার করিলে।

                          সদকায়ে ফিতরঃ                       
যে কোন সাবালক সজ্ঞান মুসলমান ঈদের দিন ঋণের অতিরিক্ত সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য কিংবা তৎসম মূল্যের  নগদ টাকা বা অন্য মালামালের মালিক হইলে তাহার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হইবে।
ফিতরা নিজের ও নাবালক সন্তানদের পক্ষ হইতে আদায় করা ওয়াজিব।

                       ফিতরার পরিমাণ পুনেঃ                      পৌনে দুই সের আটা বা গম অথবা রাজার দর হিসেবে তাহার মূল্য।
ফিতরা ঈদের নামাযের পূর্বে আদায় করতে হয়, যথা সময়ে আদায় না করিলে তাহার জিম্মায় আদায় করা ওয়াজিব থাকিয়া যাইবে।

1 টি মন্তব্য:

আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন?

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.