সাদকায়ে ফিতর এবং কোরবানী ও হজের বিবরণ


সাদকায়ে ফিতর
 যে ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক ঈদের দিন তার ওপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
ঘরে যত জন মানুষ আছে প্রত্যেকের থেকে দুই সের অথবা চার জব ফকীর-মিসকিনকে দান করে ঈদগাহে নামায পড়তে যাবে।
তবে স্বীয় স্ত্রী এবং সাবালক সন্তানদের পক্ষ থেকে সাদকা আদায় করা জরুরি নয়।
তারা বরং নিজেদের পক্ষ থেকে সাদকা আদায় করবে। অবশ্য যদি নিসাবের মালিক হয়।
আর দাস-দাসীদের পক্ষ থেকেও আদায় করবে।
যদি কেউ কারও বাড়িতে আসে তাহলে তিনদিন পর্যন্ত তার মেহমানদারী করা সুন্নাত।
একান্ত অপরাগতা কারো কাছে হাত পাতা হারাম।


কোরবানী
যদি কোন ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে ঈদুল আযহার দিন কুরবানী করা তার ওপর ওয়াজিব।
এক বছরের বেশী বয়সী বকরী, দুই বছরের বেশী বয়সী গরু অথবা পাঁচ বছরের বেশী বয়সী উট জবাই করবে।
সাত ব্যক্তি শরীক হয়ে একটি উট বা গরু কুরবানী করা জায়েয আছে।
যদি সকলের উদ্দেশ্যে কুরবানী-ই হয়।

   কুরবানীর পশু যেন ক্রুটিমুক্ত হয়।
কুরবানী ঈদের নামাযের পূর্বে জায়েয নেই।
ঈদের নামাযের পর তিনদিন পর্যন্ত কুরবানী জায়েয আছে।
যিলহজের দশ এগার ও বার তারিখের কুরবানী করতে না পারলে কুরবানীর পশু হোক আর মূল্য হোক ফকির -মিসকীনকে দান করে দিবে।
কুরবানী ও সাদকা সাহিবে নিসাবের ওপরই ওয়াজিব হয়, চাই নিসাবের সম্পদ বর্ধমান হোক বা না হোক।যেমন প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণের কাপড় বা থাকার ঘর আছে, এতে ব্যবসার নিয়্যত নেই।
কিন্তু তার মূল্য নিসাব পরিমাণ।
আর যদি এসব সম্পদের ক্ষেত্রে ব্যবসার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে এক বছর অতিক্রান্ত হলে যাকাত ফরয হয়ে যাবে।

                       হজের বিবরণ
ইসলামের পঞ্চম রুকন হজ।
যাকে আল্লাহ তা'আলা পথ খরচ এবং বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌছার বাহন দান করেন অতঃপর যদি পথে নিরাপত্তা থাকে- তার ওপর-ই হজ ফরয হয়।
কেউ যদি হজকে ফরয মনে না করে তাহলে
সে কাফির।
আর যে ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হওয়ার পরও সে তা আদায় করে না সে ফাসিক।
অর্থাৎ মহাপাপী।
হজ জীবনে একবার ফরয।
যখন আল্লাহ তা'আলা হজ করার ব্যবস্থা করে দিবেন তখন মাসাইল জেনে নিবে।
তাই এখানে আমরা মাসাইল সম্পর্কে আলোচনা
 করছি না।
RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.