লাইলাতুল বরাত এবং লাইলাতুল কদরের বিবরণ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন শাবানের পনেরতম রাত্রি আগমন করে তখন রাতে ইবাদত কর এবং পরের দিন রোযা রাখ। এই রাতে এই বৎসর যতগুলি সন্তান জন্মগ্রহণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়, আর এই বৎসর যত লোক মৃত্যু বরণ করবে তাও লিপিবদ্ধ করা হয়।
এই রাতে বান্দাদের আমল আসমানে উঠানো হয়
আর এই রাতেই মানুষের নির্ধারিত অবতীর্ণ হয়।
এ রজনীর অসংখ্য ফজীলত বর্ণিত আছে, তাই এই রজনী ইবাদত ও আমলের মধ্যে কাটানো উচিত, এই রজনীতে নিম্মোক্ত আমলগুলি করা সুন্নত।
যথাঃ (ক) রাত জেগে নামাজ আদায় করা (খ) যিকির ও তিলাওয়াত করা, (গ) ইস্তেগফার করা, (ঘ) দোয়া করা (ঙ) কবর জিয়ারত করা ইত্যাদি।
শবে বরাতে বিশেষ ধরনের নামাজের কোন শর্ত নাই।
ইবাদতকারীর নিকট যেভাবে সহজ সেভাবে ইবাদত করবে।
অর্থাৎ শুধু লাইলাতুল বরাতের নিয়ত করে অন্যান্য নফল নামাজের মতই এই নামাজ আদায় করবে।
লাইলাতুল বরাতের নামাজের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই ছালাতিল লাইলাতিল বারাআতি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
লাইলাতুল কদরের বিবরণ
রমজানের প্রতিটি রাতই ইবাদাতের জন্য সুবর্ণ সময়। তারপরও আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করে এই মাসে শবে কদর নামে একটি মর্যাদাপূর্ণ বরকতময় রজনী দান করেছেন।
এই রজনীতে কুরআন মজিদ অবতীর্ণ হয়।
কুরআন মজিদে এই রাত্রিকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলা হয়েছে।
যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের নিয়তে ইবাদতের দন্ডায়মান হয় তার পিছনের সব গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
শবে কদরের তারিখ অনির্দিষ্ট।
তবে শেষ দশকের যে কোন বেজোড় রাত্রিতে শবে কদরকে তালাশ করার কথা হাদীসে বলা হয়েছে।
শবে বরাতের মত শবে কদরেও ইবাদতের কোন বিশেষ পদ্ধতি নেই।
নফল ইবাদত অর্থাৎ নামাজ, যিকির, তিলাওয়াত, ইস্তেগফার, দুরুদশরীফ ও দোয়ার আমল করবে।
শবে কদর নামাযের নিয়ত
উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকআ'তাই ছালাতিল লাইলাতিল ক্বাদরি, মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়তঃ আমি আল্লাহর জন্য কেবলামুখী হইয়া শবে কদরের দুই রাকআত নামায পড়িতেছি, আল্লাহু আকবার।
