ইমামত এবং মুসাফিরের নামায
ইমামত এবং মুসাফিরের নামায
এমন ব্যক্তি ইমাম হবেন যিনি জামাতের সকলের চাইতে দীনী ইলম বেশী জানেন কুরআন শরীফ খুব শুদ্ধভাবে পড়তে পারেন।
যদি কোন মূর্খ লোক ইমাম বনে যায তাহলে সে নিজের এবং অন্যসকল মুকতাদীর নামায ধ্বংস করে ফেলবে। যে ব্যক্তির মাযহাব ঠিক নেই তার পিছনে নামায পড়া মাকরুহ।
ফাসিক ব্যক্তির পেছনেও নামায পড়া জায়েয আছে। তবে মাকরুহ।
ফাসিক বলা হয় যে ব্যক্তি সগিরা কিংবা কবিরা গোনায় অভ্যস্ত।
সর্বদাই এসব গোনাহ সে করে।
নাবালক ছেলের পেছনে নামায পড়া জায়েয নেই।
তবে কোন কোন আলিম 'তারাবীহ' পড়াকে জায়েয রেখেছেন।
আবার কেউ কেউ বলেছেন তারাবীহও নাজায়েয।
যদি অসুস্থতার কারণে ইমাম বসে বসে নামায পড়েন আর মুকতাদী পড়ে দাঁড়িয়ে; কিংবা অনিবার্য কারণে ইমাম তায়াম্মুম করেছেন আর মুকতাদী করেছে ওযু, তাহলেও জায়েয আছে।
সকলের নামাযই সহীহ হবে।
সারা কাতার থেকে আলাদা হয়ে যদি এক ব্যক্তি একা গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে মাকরুহ হবে এবং এটা খুবই মন্দ। সুন্নত হলো, প্রথম সারি পূর্ণ হবার আগে অন্য সারিতে কেউ-ই দাঁড়াবে না।
যখন প্রথম সারি পূর্ণ হয়ে যাবে তখন পেছনে যদি মাত্র একজন থাকে তখন নিয়ম হলো, প্রথম সারি থেকে একজন ছুটে এসে তার সাথে দাঁড়াবে।
মুকতাদীগণ সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বরাবর হয়ে দাঁড়াবে।
মাঝখানে শূন্য জায়গা রাখবে না।
পা আগে পিছে করে কাতারকে বাঁকা করবে না-এটা খুবই অপছন্দনীয় কাজ।
মুসাফিরের নামায
যদি কেউ তিন মনযিল (৪৮ মাইল) বা তার চে' বেশী দূর সফর করার উদ্দেশে স্বীয় ঘর থেকে বের হয় এবং স্বীয় শহরের আবাদী থেকে বের হয়ে পড়ে তাহলেই সে মুসাফির।
তখন সে চার রাকআত ফরয নামায দুই রাকআত পড়বে।
অর্থাৎ যোহর, আসর ও ইশার নামায দুই রাকআত করে পড়বে।
ফজর ও মাগরিব পুরাপুরি পড়বে।
যদি মুসাফির ইমাম হয় আর মুকতাদী মুকীম হয় তাহলে মুসাফির দুই রাকআত পড়ে সালাম ফিরিয়ে দিবে আর মুকীম মুকতাদী দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট দুই রাকআত পড়ে সালাম ফিরিয়ে নিবে।
মুসাফির ঘরে ফিরে আসার পর তার সফর শেষ।
তখন পূর্ণ চার রাকআত-ই পড়তে হবে।
কিন্তু পথে যদি কোন গ্রাম বা শহরে পনের দিন বা তার চেয়ে বেশী সময় থাকার নিয়্যত করে বসে তাহলেও চার রাকআতই পড়তে হবে।
অতঃপর যখন সেখান থেকে পুনরায় সফর করবে তখন আবার দুই রাকআতই পড়বে।
মুসাফির সুন্নতের মধ্যে হ্রাস করতে পারবে না।
হ্যাঁ, যদি চলতে গিয়ে সুন্নত পড়ার অবসর না হয় তাহলে সুন্নত ছেড়ে দিবে এবং শুধু ফরয পড়বে।

valo lagche
উত্তরমুছুন